জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে তাঁর এই মন্তব্যকে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রতিফলন বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। সাউথ ব্লক এ কথা ভাল করেই জানে যে, তাদের উপরে পক্ষ নেওয়ার চাপ আসবে। পশ্চিম চাইছে, রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে ভারত মস্কোর উপর যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ তৈরি করুক। তাই পৌঁছনোর পরের দিনই মোদী ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠকটি সেরে নিতে চাইছেন। জ়েলেনস্কিকেও তিনি সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানের কথাই বলবেন। যদিও আমেরিকা ও ইউরোপ মনে করে, সমস্যা নিরসনের চাবি ইউক্রেন নয়, রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে।
জি-৭ রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে বৈঠকের আগে মোদী চিন এবং পাকিস্তান নিয়েও সরব হয়েছেন। পাকিস্তান প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য, “ভারত চায় স্বাভাবিক এবং প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ এবং আতঙ্কমুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করা ওদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার দায় পাকিস্তানের।” পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সংঘাত প্রসঙ্গে মোদী বলেছেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সম্মান রক্ষার জন্য ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত।” তাঁর মতে, “ভারত চিন সম্পর্ক এগিয়ে যেতে পারে একমাত্র পারস্পরিক সম্মান, স্পর্শকাতরতা এবং স্বার্থের ভিত্তিতে।”
আগামিকাল প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক কর্মসূচি রয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে তিনি যাবেন মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর আবক্ষমূর্তি উন্মোচনে। এর পর দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সেরে তিনি যোগ দেবেন জি-৭ বৈঠকের আমন্ত্রিত অংশে। বিকেলে বৈঠক ফ্রান্স এবং ইউক্রেনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।
রাতে কোয়াড বৈঠকে আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদী। চিন-বিরোধী এই কোয়াড নিয়ে মোদীর বক্তব্য, “উদার, উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ এবং সবাইকে নিয়ে চলা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরির জন্য কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করছে।”