• ঘরে উদ্ধার বৃদ্ধার দেহ, পাশেই অচেতন ছেলে
    আনন্দবাজার | ২০ মে ২০২৩
  • ঘর থেকে উদ্ধার হল অন্ন চক্রবর্তী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার পচন ধরা দেহ। পাশেই অচেতন অবস্থায় শুয়েছিলেন বৃদ্ধার ছেলে। দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের এ-জ়োন এলাকার হস্টেল অ্যাভিনিউয়ের ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে কটূ গন্ধ পেয়ে পড়শিরা থানায় খবর দেন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, ওই হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়েছে বৃদ্ধার ছেলে রজতকে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হস্টেল অ্যাভিনিউয়ের ১৫ নম্বর স্ট্রিটে ডিএসপি কোয়ার্টারে থাকে পরিবারটি। বছরখানেক আগে অন্নর স্বামী মারা যান। রজতের স্ত্রী মাসখানেক আগে সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। কোয়ার্টারে থাকতেন অন্ন ও রজত। রজত সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী।

    বৃহস্পতিবার রাতে এলাকাবাসীর থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কোয়ার্টারের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে পাশাপাশি শুয়ে মৃত মা ও অসুস্থ ছেলে। অন্নর সারা শরীর চাদরে ঢাকা। পুলিশ রজতকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসে। মুখে-চোখে জল দিতে তিনি কিছুটাসুস্থবোধ করেন।

    পড়শি পবনকুমার মাইতি জানান, ওই পরিবারটির সঙ্গে এলাকার কারও তেমন কথাবার্তা ছিল না। রজতের পিসেমশাই অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় জানান, বুধবার ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে এসে দেখা পাননি। পরে সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ঘটনার কথা জানতে পারেন। তিনি বলেন, “শুনেছি, বাজারে ওদের অনেক দেনা আছে। সেই চাপে কিছু ঘটে গিয়েছে কি না বুঝতে পারছি না। পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত করুক।”

    পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের ভিতরে ছাদ থেকে একটি শাড়ি দড়ির মতো করে ঝুলছিল। অন্নের ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং সে মতো তদন্ত এগোবে। কবে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রজত সুস্থ হলে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ার্টার বিক্রি নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে মতান্তর চলছিল কিছু দিন ধরে। তা থেকে কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হবে বলেজানিয়েছে পুলিশ।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)