• কেন্দ্রের বরাদ্দ নিয়ে জটিলতা এড়াতে দায়িত্ব ভাগ উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ মে ২০২৩
  • জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাজে সহায়তা করার জন্য চার জন করে উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থাকেন। এত দিন পর্যন্ত তাঁদের কাজ ভাগ করে দিতেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। ফলে সময়ে সময়ে পাল্টে যেত কাজ।  স্বাস্থ্য ভবন থেকে কাজের উপর নজরদারি চালানোও সমস্যা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার নির্দেশিকার জারি করে উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাজ ভাগ করে দিল স্বাস্থ্য দফতর। জেলার সব স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে তাঁরা যেন তাঁদের ডেপুটিদের কাজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। 

    কাজে গতি আনতে এই সিদ্ধান্তের কথা বলা হলেও মূলত কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির সঙ্গে সমন্বয়ে জোর দিতেই এই দায়িত্ব ভাগের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের। প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা নিয়ে যাতে জটিলতা না বাড়ে সে কারণেই এই নির্দেশেকা বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

    নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের নোডাল অফিসার হবেন ডেপুটি-ওয়ান। মানবসম্পদ, ওষুধ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনা এবং জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের দায়িত্বও থাকবে তাঁর উপরে।

    ডেপুটি-টু-এর দায়িত্ব জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে কমিউনিকেব্‌ল ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির নোডাল অফিসারের। সাপে কাটা ও অন্য কোনও প্রাণী কামড়ানোর চিকিৎসা ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের দায়িত্বও থাকছে তাঁর হাতে। তিনিই খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টিও দেখবেন বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।

    (পড়তে পারেন। পুতুলের বাঁশি চলে গিয়েছিল কিশোরের ফুসফুসে, বাজছিল ভেতরে, এরপর যা করল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল)

    ডেপুটি-থ্রির দায়িত্ব, গর্ভাবস্থাকালীন পরীক্ষা থেকে প্রসব-পরবর্তী চিকিৎসা, হাসপাতালে প্রসব এবং প্রসূতি-মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার তদন্তের। পরিবার পরিকল্পনা ও বন্ধ্যত্বকরণ কর্মসূচির যথাযথ রূপায়ণ হচ্ছে কিনা তাও তাঁকে দেখভাল করতে হবে। এ ছাড়াও লেবার রুম-সহ হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ও ১০২ নম্বরে ডায়াল করে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার সুষ্ঠ পরিচালনা তিনিই নজর রাখবেন।

    ডেপুটি-ফোরের মূল দায়িত্বই হল জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (অসংক্রমক রোগ) কর্মসূচি। এ ছাড়াও রোগের নিয়ন্ত্রণ, রক্ত বণ্টন ব্যবস্থার পরিচালনা তিনি করবেন।

    একই সঙ্গে সম পদমর্যাদার ডিস্ট্রিক্ট মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হেল্‌থ অফিসার (ডিএমসিএইচও)-দেরও দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই নির্দেশিকা তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন,'এত দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকই কাজের দায়িত্ব বণ্টন করতেন। এ বার স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার ফলে কারও কাজে কোনও গাফিলতি ধরা পড়লে সরসরি তাঁকে প্রশ্ন করা যাবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের কাজের মধ্যে সমন্বয় বজায় থাকবে। '

    এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4au
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)