• একসঙ্গে এগরোল খেতাম- পশ্চিম দিল্লির সেই অচেনা বিরাটের স্মৃতিচারণায় ইশান্ত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ মে ২০২৩
  • চলতি আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি। বৃহস্পতিবার রাতেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অনবদ্য খেলেছেন বিরাট কোহলি। হাঁকিয়েছেন শতরান।এমন আবহেই বিরাটের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব নিয়ে মুখ খুললেন একদা ভারতীয় সিনিয়র দলের নিয়মিত সদস্য তথা এই মুহূর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের পেসার ইশান্ত শর্মা। দিল্লি ক্রিকেটে বিরাটের সিনিয়র ছিলেন ইশান্ত। একসময়ই রাজ্য দলের হয়ে খেলেছেন। তখন বিরাট অর্থাৎ সকলের প্রিয় চিকুকে চিনত না বিশ্ব। প্রচারের আলোর থেকে শতহস্ত দূরে থাকা কোহলিকে অনেকেই চেনেন না বলে মনে করেন ইশান্ত। 

    চলতি আইপিএলে যখন দিল্লি ক্যাপিটালস মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তখনও এই দুই দিল্লির ক্রিকেটারকে দেখা যায় একে অপরের সঙ্গে খোশ মেজাজে আড্ডা দিতে। ম্যাচের আগে এবং পরে একে অপরের সঙ্গে মজা করতে দেখা যায় দুই তারকাকে। ম্যাচে আরসিবিকে হারিয়ে দেয় দিল্লি। 

    এরপরেই তারকা পেসার তাদের বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তুলে আনেন নানা অজানা কাহিনি। তিনি বলেন ' এই মুহূর্তে বিরাট অত্যন্ত ভালো,নম্র একজন মানুষ। অনেকেই পশ্চিম দিল্লিতে ওঁর কেরিয়ারের পর্যায়টি দেখেনি। আমরা অনুর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে একসঙ্গে ক্রিকেটটা খেলেছি কলকাতায়। আর সত্যি বলতে তখন আমাদের পকেটে একেবারেই পয়সা ছিল না। আমরা একসঙ্গে এগ রোল খেতাম। অনুশীলনের পরে কোল্ড ড্রিঙ্কস খেতাম। আমরা সবটা খুব উপভোগ করেছি। আমি বিরাটের কেরিয়ারের এইদিকটা সামনে থেকে দেখেছি। এখন বিরাট অনেক বড় ক্রিকেটার হয়ে গিয়েছে। দলের অধিনায়কত্ব ও করেছে। তবে পশ্চিম দিল্লির সেই ছেলেটা কিন্তু খুব একটা বদলায়নি। আমার বাড়ি প্যাটেল নগরে,বিরাটের বাড়ি মীরাবাগে। যখন আমাদের দেখা হয় আমরা এখন ও ছোটবেলার মতন মজা করি। একমাত্র আমরাই বুঝতে পারি আমাদের সেন্স অফ হিউমার।' 

    প্রসঙ্গত, বিরাটের আমলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চমকপ্রদ সাফল্য পান ইশান্ত শর্মা। একসময় তিনটি ফর্ম্যাটেই চুটিয়ে খেলেছেন তিনি। তবে রোহিত-দ্রাবিড়দের সংসারে ব্রাত্য ইশান্ত। তাঁকে যে আর দলে নেওয়া হবে না, তা কার্যত বলেই দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে আশা ছাড়েননি ইশান্ত। আইপিএলে করেছেন স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন। অন্যদিকে প্রত্যাশার চাপ কাটিয়ে ফের নিজের সেরা ফর্মে ফিরছেন কোহলি। দিল্লির সেই দুই বন্ধুর পথ হয়তো আজ অনেকটা আলাদা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু কোথায় গিয়ে যেন একই সূত্রে বাঁধা পড়ে গিয়েছে তাদের জীবনের সমীকরণ। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)