• শিশুকন্যার পিতৃ পরিচয় দিতে গিয়ে টাকা দাবি করলেন বাবা! পুলিশের দ্বারস্থ গৃহবধূ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ মে ২০২৩
  • কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ প্রায় শোনা যায় শ্বশুরবাড়ি এবং স্বামীর বিরুদ্ধে। আর এবার কন্যাসন্তানের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে স্ত্রীর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা দাবি করলেন স্বামী। আর পিতৃত্বের পরিচয় না দেওয়ায় সদ্যোজাতর জন্ম সার্টিফিকেট তুলতে পারছেন না মা। শিশু কন্যার জন্ম সার্টিফিকেট পেতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রায় এক বছর ধরে তিনি হাসপাতালে ঘুরছেন। শেষে এবিষয়ে সুরাহা পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন গৃহবধূ। এমনই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার হাবিবপুরের গাজীপুরে।

    জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম তাজমিরা বিবি। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে গাজীপুরের বাসিন্দা ফারুক মন্ডলের সঙ্গে। গত বছর শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তাজমিরা। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। কন্যাসন্তান হওয়ার কারণে পিতৃ পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন তাঁর স্বামী। এর ফলে শিশুকন্যার জন্ম সার্টিফিকেট পেতে গিয়ে তাঁকে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শেষে বাধ্য হয়ে আজ শনিবার তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাজমিরার পরিবারের অভিযোগ, দারিদ্রতার কারণে কোনওরকম যৌতুক দিতে পারবে না এই জানিয়ে ফারুক মন্ডলের সঙ্গে তারা মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে কখনও সোনা গহনা, আবার কখনও নগদ টাকার জন্য তাদের মেয়ের উপরে চাপ দিতে থাকে ফারুক। আর এখন শিশুকন্যা হওয়ায় নিজের মেয়ের পরিচয় দিতে গিয়ে টাকা দাবি করছে সে। তবে কোনওভাবেই এই টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাজমিরার পরিবারের সদস্যরা।

    তাজমিরার মা আবেদা বিবি জানান, ‘আমরা গরিব, আমাদের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা কোনওভাবে সম্ভব নয়। আমরা চাই আমাদের মেয়ে এবং নাতনিকে যোগ্য মর্যাদা দিয়ে জামাই ফারুক যাতে সংসার করে সে বিষয়ে প্রশাসন সহযোগিতা করুক। তাজমিরার অভিযোগ, টাকার দাবিতে এর আগেও একাধিক বার তাকে মারধর করেছেন স্বামী। এ নিয়ে তিনি শান্তিপুর থানাতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই সময় মীমাংসার জন্য থানার পক্ষ থেকে তার স্বামী এবং শ্বশুরকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা কেউই থানায় যায়নি। আর এখন মেয়ের পরিচয় নিয়ে এখন সমস্যায় পড়েছেন তাজমিরা। পিতৃ পরিচয় না থাকায় জন্ম সার্টিফিকেট দিতে চাইছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেহেতু হাসপাতাল থেকে তাজমিরার ছুটির সময় শিশু কন্যার বাবার সাক্ষর ছিল তাই বাবার প্রমাণপত্র প্রয়োজন। তবে সেক্ষেত্রে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে দরখাস্ত করলে তিনি জন্ম সার্টিফিকেট পেতে পারেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4au
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)