• ওয়েবসাইটে ৪৯০, মার্কশিটে ১৯০! ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কে ঘুম উড়ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
    এই সময় | ২১ মে ২০২৩
  • শুক্রবার সকালে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফল প্রকাশের পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন কৃতী পরীক্ষার্থীদের নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। এর মাঝেই এক অন্য ছবি ধরা পড়ল উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। নম্বর বিভ্রাটে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে মাধ্যমিক ছাত্র।

    উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া থানার অন্তগর্ত গোরাইতোলা হাইস্কুল থেকে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন কার্তিক দাস। ফল প্রকাশের পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেখা যায় ৪৯০ নম্বর পেয়েছে কার্তিক। কিন্তু মার্কশিট হাতে পেতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁর। মার্কশিট অনুযায়ী তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৯০। পর্ষদের ভুল না প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য এই ভুল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কার্তিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার আগে, স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় কার্তিকের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪০৮। মাধ্যমিকে ভালো ফল করবে, এমটাই আশা ছিল কার্তিকের পরিবারের। এমনকী বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির হওয়ার প্রস্তুতিও প্রায় সাড়া হয়েছিল।

    শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর কার্তিক দেখে ওয়েবসাইটে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফল দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল ছাত্রটি। বাড়িতে চলছিল দেদার মিষ্টিমুখ। কার্তিকের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। ছেলের সাফল্য তিনি আনন্দ পেয়েছিলেন। মা আশায় বুক বেঁধেছিলেন ছেলেকে বিজ্ঞান নিয়ে ভালো স্কুলে ভর্তি করার।

    কিন্তু সে আনন্দ যে ক্ষণস্থায়ী তা বুঝে উঠতে পারেনি দাস পরিবার। স্কুলে গিয়ে মার্কশিট হাতে পেতেই মাথায় বাজ পড়ে কার্তিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। সে দেখে মাধ্যমিক পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরের সাথে মার্কশিটের নম্বরে আকাশ-পাতাল ফারাক। ৪৯০ নম্বর কমে হয়েছে ১৯০। বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে ছাত্রটি। এখন তাঁর ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবারও।

    মাধ্যমিকের ফল নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলার কার্তিক। ওয়েবসাইট ও মার্কশিটে ভিন্ন ফলই এখন তাঁর দুশ্চিন্তার কারণ। জীবনের প্রথম বড় পরিক্ষা দিয়ে চরম অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটছে কার্তিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। পর্ষদের কাছে খাতা রিভিউ করার পরিকল্পনা করছে কার্তিকের পরিবার। এ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেন, 'আমি টেস্ট পরীক্ষায় স্কুলে সপ্তম হয়েছিলাম। ৪০৮ নম্বর পেয়েছিলাম। ফল বেরনোর পর অনলাইনে দেখাল ৪৯০ পেয়েছি। স্কুল থেকে মার্কশিট পাওয়ার পর দেখি ১৯০ হয়েছে। এখন খাতা রিভিউ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। আমার আশা ভেঙে গিয়েছে। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল।'
  • Link to this news (এই সময়)