• ‘SSKM বাংলার মুখ’, মদন মিত্রর মন্তব্যের নিন্দায় সরব বিধায়ক
    এই সময় | ২১ মে ২০২৩
  • West Bengal News : শুক্রবার রাতে SSKM হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে এসে রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সাধারণ মানুষকে এই হাসপাতাল বয়কট করার বার্তা দিয়েছিলেন মদন মিত্র। ‘সে টু নো পিজি’ সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। যদিও দলের এই বিধায়কের বক্তব্যে সায় দেননি উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি। শনিবার উলুবেড়িয়ার বৃন্দাবনপুরে মাধ্যমিকে নবম স্থানাধিকারী দ্বৈপায়ন মান্নাকে সম্বর্ধনা দিতে এসে এই কথা বলেন বিধায়ক নির্মল মাজি।

    এদিন দুপুরে বিধায়ক নির্মল মাজি, উলুবেড়িয়া ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ ইলিয়াস, হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায় দ্বৈপায়নের বাড়িতে গিয়ে তার হাতে ফুল মিষ্টি মনীষীদের ছবি বই তুলে দেন। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, “SSKM বাংলার মুখ।

    বাংলার ১২ কোটি মানুষের লক্ষ্য এই প্রতিষ্ঠান। মাল্টি সুপার স্পেশালিটি এই হাসপাতালে বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা হয়। সুতরাং মদন মিত্র যেটা বলেছেন সেই ব্যাপারে আমি ওনার সঙ্গে একমত নই”। তিনি বলেন, “শুক্রবার রাতের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়। আমিও বিষয়টি নিন্দা করছি।

    বিধায়ক মদন মিত্র বাম আমলে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে যে বক্তব্য করেছেন সে ব্যাপারে আমি ওনার সঙ্গে সহমত নই”। বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, “বামেদের আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে অরাজকতা ছিল তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ৭ টা মেডিক্যাল কলেজের জায়গায় এখন ৩০ টা মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে।

    ১০ গুন সিসিইউ-র সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪/৫ টা এস এন সি ইউ-এর জায়গায় ৩৩২ টা হয়েছে। জয়েন্টে ৭৫০ আসনের জায়গায় পৌনে ৫ হাজার হয়েছে”। ট্রমা সেন্টারে বেড না পাওয়া নিয়ে মদন মিত্রের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, “বেড না পাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বেড অপ্রতুল হচ্ছে”।

    হাসপাতালে দালালরাজ নিয়ে মদন মিত্রের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মল মাজি বলেন, “বাম আমলে যে দালালরাজ ছিল তার ৯০ শতাংশ আমরা সরিয়ে দিয়েছি। কিছু জায়গায় এই সমস্যা আছে। আমাদের সকলের দায়িত্ব এইসব দালালদের কলার ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া”। মদন মিত্রের হাসপাতালের সুপার ডিরেক্টরের পদত্যাগ দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বিষয়। তাঁরা এই ব্যাপারে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন”।
  • Link to this news (এই সময়)