• ‘নির্যাস শূন্য’ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বললেন অভিষেক, ভয়ঙ্কর নিশানা শুভেন্দুকে
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ২১ মে ২০২৩
  • প্রায় ৯ ঘন্টা ৪০ মিনিটের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতে নিজাম প্যালেসের নিচে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের জিজ্ঞাসাবাদকে ‘নির্যাস শূন্য’ বলে স্পষ্ট দাবি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সাফ কথা, ‘এতে আমারও সময় নষ্ট, আর তদন্তকারীদেরও সময় নষ্ট হল।’

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, দুটি পর্বে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রায় ৯ ঘন্টা ৪০ মিনিটের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব কাটিয়ে এদিন রাতে নিজাম প্যালেস চত্বরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক।

    এদিনের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য। যেটা আমি গতকালই বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে জনসমক্ষে আনা হোক। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। প্রমাণ থাকলে ফাঁসির মঞ্চে উঠব। আমারও সময় নষ্ট, তদন্তকারীদের সময় নষ্ট।’ অর্থাৎ কুন্তলের চিঠি মামলায় তাঁর যে কোনও যোগ নেই তা ফের স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।

    এরপরই বড় প্রশ্ন তুলে দেন অভিষেক। বলেন, ‘আমায় ওখানে জিজ্ঞেস করেছিল, এঁদের চেনেন। বিশ্বাস করবেন না, ৯০ শতাংশের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদ। সেখানে দলের তরফে কে দায়িত্বে ছিলেন? তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করা হবে না কেন? আমাদের থেকে যা জানতে চাওয়া হয়, দিয়েছি। অধিকাংশ প্রশ্নই বোগাস।’ উল্লেখ্য, তৃণমূলের থাকাকালীন পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের দলের সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

    তৃণমূল সাংদের দাবি, ‘নবজোয়ার রুখতেই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। আমাকে ডাকাডাকি বন্ধ করুন। বিজেপির কারও নাম এলে তাঁদের কেন ডাকা হয় না। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায় তো দিলীপ ঘোষের নাম নিয়েছেন। তাঁকে কেন ডাকা হচ্ছে না? নারদা মামলায় সবচেয়ে বড় অভিযুক্ত এখন বিজেপিতে। টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবুও তাঁকে ডাকা হয়নি। কেন? সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী ও শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠাবে না সিবিআই?’

    পাশাপাশি অমিত শাহকেও নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘১৫০ গুণ সম্পত্তি বেড়েছে বলে সুকন্যা মণ্ডল জেলে, আর ১৫০০ গুণ সম্পত্তি বাড়া সত্ত্বেও অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ বাইরে। কেন এরকম হবে?’

    অভিষেকের সাফ ঘোষণা, ‘আমায় তার্গেট করে নিয়ে এটা করা হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা ঝোঁকানোর লোক নই। কেন্দ্রের পোষা কুকুর হয়ে থাকব না। মাথা উঁচু করে রয়্যালবেঙ্গল টাইগার হয়ে থাকব।’
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)