• ভারতের রাজদণ্ড কেমন? নতুন সংসদ ভবনে স্থাপন করবেন মোদী
    Aajtak | ২৫ মে ২০২৩
  • New Parliament Inauguration: ভারতের নতুন সংসদ ভবন (সেন্ট্রাল ভিস্তা) ২৮ মে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ অর্থাত্‍ বুধবার জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিনান্ত পরিশ্রম করে এই বিরাট স্থাপত্য যাঁরা তৈরি করলেন, সেই ৬০ হাজার নির্মাতাকেও ওই দিন সম্মান জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    অমিত শাহের কথায়, 'নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের মাধ্যমেই ঐতিহাসিক পরম্পরা পুনরুজ্জীবিত হবে। নতুন সংসদ ভবনে রাজদণ্ড স্থাপন করা হবে। যার অর্থ হল, সংসদের স্বাধীনতা। যেদিন রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে নতুন সংসদ ভবন সমর্পণ করা হবে, সেদিনই তামিলনাড়ু থেকে আগত বিদ্বজ্জনেরা রাজদণ্ড প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারপর তা স্থায়ী ভাবে সংসদ ভবনে স্থাপন করা হবে। ভারতের রাজদণ্ড রাখা রয়েছে এলাহাবাদের মিউজিয়ামে।'

    রাজদণ্ডের ইতিহাস কী?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, স্বাধীনতার সময় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে জিগ্গেস করা হয়েছিল, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় কী ধরনের আয়োজন করা হবে? নেহরু তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সি গোপালাচারির সঙ্গে আলোচনায় ঠিক করা হয় রাজদণ্ডের বিষয়টি। পবিত্র রাজদণ্ড তামিলনাড়ু থেকে আনার ব্যবস্থা করেন নেহরু। এর মাধ্যমেই পারম্পরিক প্রক্রিয়ায় ভারত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয় ব্রিটিশ সরকার।

    চোল সাম্রাজ্যের সঙ্গে জড়িত রাজদণ্ড

    অমিত শাহ জানালেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভারতের রাজদণ্ড যাঁর হাতে তোলা হয়, তাঁর থেকে ন্যায় শাসন আশা করা হয়। এই দণ্ডের সঙ্গে চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস জড়িত। তামিলনাড়ুর পুরোহিতরা এই দণ্ডের দ্বারা ধার্মিক অনুষ্ঠান করেছিলেন। স্বাধীনতার সময় সেই দণ্ড নেহরুর হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, '১৯৪৭ সালের পর রাজদণ্ড ভুলিয়ে দেওয়া হয় দেশবাসীকে। ১৯৭১ সালে তামিল পণ্ডিত রাজদণ্ডের বিষয়ে একটি বইতে লেখেন। ভারত সরকার ২০২১-২২ সালে এ বিষয়টি উত্থাপন করে। ৯৬ বছরের ওই তামিল পণ্ডিত ১৯৪৭ সালে নেহরুর হাতে রাজদণ্ড তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।'

    ১৯৪৭ সালের পর থেকে ব্যবহার হয়নি

    ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পরে রাজদণ্ডের ব্যবহার আর দেখা যায়নি। যদিও ভারতের সম্রাটের প্রতীক হিসেবে এখনও মানা হয় রাজদণ্ডকে। এলাহাবাদের মিউজিয়ামে রয়েছে এই রাজদণ্ড। একে নেহরুর সোনার লাঠি বলে পরিচিত ছিল এতদিন অনেকের কাছে। 
  • Link to this news (Aajtak)