• অন্তঃসত্ত্বা বধূকে একাধিকবার ধর্ষণ, সদ্যোজাতকে বিক্রির চেষ্টা, গ্রেফতার সাত‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ মে ২০২৩
  • এক গাঁয়ের বধূর উপর নেমে এল নির্মম অত্যাচার। আর তা প্রকাশ্যে আসায় শিউরে উঠল মানুষজন। অন্তঃসত্ত্বা বধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। এমনকী সন্তান প্রসবের পর সেই সদ্যোজাতকে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে এক মহিলা–সহ সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বালি থানার পুলিশ। বুধবার ও বৃহস্পতিবার মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকা এবং কলকাতার নানা জায়গা থেকে পাকড়াও করা হয়েছে অভিযুক্তদের। সকলকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    ঠিক কী ঘটেছে বালিতে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে ওড়িশায় থাকেন। আর ওই গৃহবধূ কাজ করতেন বেলুড়ে গিরিরাজ খৈতান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। সেখানে সেলাইয়ের কাজ হয়। এখানেই আসত অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী শঙ্কর প্রসাদ। ওই ব্যক্তি যুবতী গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তারপরই শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। অভিযোগ, গিরিরাজ ও শঙ্কর বধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এই পরিস্থিতিতে অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ একাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। সেখানে গিয়ে হাজির হয় গিরিরাজ–শঙ্কর।

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নির্যাতিতা পুলিশকে জানান, মালিক ও তার বন্ধু তাঁকে সালকিয়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। সেখানেই প্রসব হয় তাঁর। তখন গিরিরাজ ও শঙ্কর প্রসাদ সদ্যোজাত শিশুকে লেকটাউনের এক দম্পতিকে বিক্রি করে দিতে চাপ দেয়। ওই দম্পতির নাম বিষ্ণু শর্মা ও স্বাতী শর্মা। তাতে সাড়া দেননি ওই গৃহবধূ। বিপদ বুঝে সন্তানকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এটা দেখে গিরিরাজ, শঙ্কর, বিষ্ণু এবং স্বাতী গৃহবধূর কোল থেকে শিশুটিকে ছিনিয়ে নেয়। ভয় দেখানো হয়েছে। তখন ওই গৃহবধূ বুধবার বালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    পুলিশ কেমন ভূমিকা নেয়?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে বালি থানার পুলিশ। তারপর গৃহবধূর সন্তানের খোঁজ মেলে। সদ্যজাত শিশুটি ছিল মালিপাঁচঘড়া এলাকার এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আর মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তরা হল—মণীশ শর্মা, রাজিব গুপ্তা ও শতাব্দী গুপ্তা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, হুমকি–সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযোগকারীর বয়ানও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)