• কালীঘাটের কাকুকে তলব করল ইডি, কোন বিষয় নিয়ে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ মে ২০২৩
  • সিবিআই আগেই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কালীঘাটের কাকুকে এবার ইডি তলব করল। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এবার ডেকে পাঠাল ইডি। সূত্রের খবর, আগামী ৩০ মে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ডাকা হয়েছে ইডির দফতরে। কয়েকদিন আগে কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েছিল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তখন কিছু নথিও হাতে আসে। সেই নথির ভিত্তিতে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এবার তাঁকে ডেকে পাঠাল ইডি।‌

    এদিকে ঠিক পাঁচদিন আগে শনিবার বেহালায় সুজয়কৃষ্ণের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তখন দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। এবার সেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার (৩০ মে) তাদের দফতরে সুজয়কে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তলবের নোটিশ ইতিমধ্যেই সুজয়কৃষ্ণের কাছে পাঠানো হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে। কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম মুখে এনেছিলেন তাপস মণ্ডল। তার আগে গোপাল দলপতির কথায় ইঙ্গিত মিলেছিল কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে।

    অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তকেও তলব করা হয়েছে। রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তলব করা হয়েছে। সুজয়ের মোবাইল ফোন আগেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পরে কালীঘাটের কাকুকে। নিয়োগ কাণ্ডে একাধিক ধৃতের মুখ থেকে সুজয়কৃষ্ণের নাম উঠে আসে। তারপর থেকেই জল গড়াতে শুরু করে। কিছুদিন আগে ইডি হানা দেয় তাঁর বেহালার বাড়ি ‘রাধারাণী’তে। টানা ১৫ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সুজয়কৃষ্ণকে আগে দু’বার তলব করেছিল সিবিআই। প্রথমবার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা এড়িয়ে যান। পরিবর্তে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় তখন সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণের। তিনি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেছেন। গোপাল দলপতি এবং তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, কুন্তলের ওই কালীঘাটের ‘কাকু’ রাজ্যের এক প্রভাবশালী শীর্ষনেতার সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার। আর সুজয়কৃষ্ণের বক্তব্য ছিল, ‘‌আমি দিদির দলের একনিষ্ঠ কর্মী।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)