• রবীন্দ্র সরোবরে যজ্ঞের অনুমতি পরিবেশ আদালতের, সুপ্রিম কোর্টে যাবেন পরিবেশ কর্মীরা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ মে ২০২৩
  • রবীন্দ্র সরোবরে দূষণ রুখতে জাতীয় পরিবেশ আদালত সেখানে ছট পুজো-সহ সমস্ত রকমের পুজো এবং অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে আদালতের নির্দেশে সেখানে পুজো এবং অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে যজ্ঞ করার অনুমতি দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, সরোবরে পুজো, অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকলেও পরিবেশবিধি মেনে যজ্ঞ করলে কোনও অসুবিধা নেই। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছেন পরিবেশ কর্মীরা।

    মামলার বয়ান অনুযায়ী, সরোবরের দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) কাছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আবেদন জানিয়েছিল। তাদের আবেদন ছিল, তারা সরোবরে যজ্ঞ করতে চায়। কিন্তু, সেই আবেদন গ্রহণ করেনি কেএমডিএ। এরপর পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যজ্ঞ করতে সমস্যা কোথায়? তাই নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে প্রশ্ন তোলা হয়। তারা বিভিন্ন গবেষণাপত্রের রিপোর্ট আদালতে পেশ করে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যজ্ঞের ধোঁয়া পরিবেশবান্ধব। এই ধোঁয়া জীবাণুনাশক, পাশাপাশি মানুষের শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য কাজ করে।

    পরিবেশ আদালত জানিয়ে দেয়, কোনওরকম পুজো, আবর্জনা ফেলা এবং অনুষ্ঠান রবীন্দ্র সরোবরে নিষিদ্ধ রয়েছে, তবে যজ্ঞ করতে বাধা নেই। কারণ যজ্ঞের ফলে জলের মানের ক্ষতি হয় না। তাছাড়া পরিবেশেরও ক্ষতি হয় না। তবে সে ক্ষেত্রে কেউ যদি মনে করে এই রায়ে পরিবেশবিধি লঙ্ঘন হয়েছে তাহলে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাতে পারবে।

    এ বিষয়ে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত জানান, পরিবেশ আদালতের নির্দেশে সরোবরে পুজো, পিকনিক থেকে শুরু করে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ২০১৭ সালে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ২০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ২৮৫ পাতা রিপোর্ট দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে রবীন্দ্র সরোবরে পুজো-সহ সমস্ত অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। সেখানে কীভাবে কেউ যজ্ঞের জন্য আবেদন করতে পারে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুভাষ দত্ত। তিনি আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।

    অন্যদিকে, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি পরমেশ্বর শাহ জানিয়েছেন, রবীন্দ্র সরোবরে সমস্ত রকমের পুজো নিষিদ্ধ সে বিষয়টি তিনি জানেন। কিন্তু, যজ্ঞের ধোঁয়ায় পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয় না, বরঞ্চ উপকার হয়। যজ্ঞের ধোঁয়া পরিবেশবান্ধব তা প্রমাণ করার জন্যই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। এই মুহূর্তে তাদের যজ্ঞ করার কোনও কর্মসূচি নেই বলে সভাপতি জানিয়েছেন।

    এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4au
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)