• কল্যাণের পুজোয় 'বিহারিবাবু', ঢাকের তালে পুজো মাতালেন ২ 'বন্ধু'
    এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২২
  • Serampore Durga Puja : 'বন্ধু'-র পুজোয় এসে ঢাক বাজালেন 'বিহারিবাবু'। সপ্তমীর সন্ধ্যায় শ্রীরামপুর (Serampore) গান্ধী ময়দানের ৫ ও ৬-র পল্লির পুজোতে গিয়েছিলেন আসনসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। আর সেখানে গিয়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঢাক বাজাতে দেখা যায় তাঁকে। এই পুজো কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) পুজো নামেই পরিচিত। ১০৯ বছরের পা দিল এই পুজো। আসানসোলের লোকসভা (Asansol Lok Sabha Election) ভোটে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহাকে (Shatrughan Sinha)। সেই সময় তাঁর হয়ে ভোটের প্রচার করেছিলেন কল্যাণ। আর তখনই 'বন্ধু'-কে কথা দিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। বলেছিলেন, যে তাঁর পুজো দেখতে আসবেন। সেই কথাই রেখেছেন 'বিহারিবাবু'। সপ্তমীর সন্ধায় 'বন্ধু'-র পুজোতে বন্ধুর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাক বাজাতে দেখা গেল তাঁকে। এর পাশাপাশি মঞ্চে উঠে বেশ কয়েকটি সিনেমার সংলাপ বলতে দেখাও গিয়েছিল তাঁকে। এক কথায় সপ্তমীর সন্ধা মাতিয়ে দিয়েছিলেন দুই বন্ধু।

    শত্রুঘ্নর হাত ধরেই কয়লাখনি এলাকায় প্রথমবার পদ্মকে সরিয়ে ফুটে উঠেছে ঘাসফুল। ৩ লাখেরও বেশি মার্জিনে আসানসোল থেকে জিতেছেন। তাঁকে দাঁড় করিয়ে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রথমবার আসানসোল কেন্দ্রে বিজেপির থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে শুধুমাত্র জয় ছিনিয়ে নেয়নি, বিজেপির জয়ের মার্জিনের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। আর সেই ভোটের পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে শত্রুঘ্নর সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে। এমনকী, দুর্গাপুজোতেও সামিল হলেন তিনি। কল্যাণের সঙ্গে শ্রীরামপুরের গান্ধি ময়দানের পুজোয় দেখা গেল তাঁকে।

    পুজোয় যোগ দিতে এসে কল্যাণের সঙ্গে ঢাক বাজান শত্রুঘ্ন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে 'বিহারিবাবু' বলেন, "দুর্গা পুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। এশিয়ার মধ্যে দুর্গাপুজার শহর বলে সম্মান জানিয়েছে। বিশ্বে খ্যাতি বেড়েছে দুর্গা মায়ের। লন্ডন থেকে আমেরিকা সকল দেশ সম্মান জানিয়েছে।"

    তিনি আরও বলেন, "বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে। এটা শুধু বাংলা নয় গোটা দেশ গৌরবান্বিত হয়েছে। মা দুর্গার আশীর্বাদে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি তৈরি হচ্ছে আমার। আগামী দিনে ওঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখব। তৃণমূলের সঙ্গে এক যোগে চলব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশায় মতো কাজ করে যাব সাংসদ হিসেবে। এখানকার মানুষকে বুকে জড়িয়ে রাখব। বাংলায় সব ধর্মের মানুষের বাস। বাংলায় সর্বদাই সব শহর এবং প্রদেশের মানুষ মিলেমিশে থাকে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আসানসোলে আমাদের জয় হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয়। তাই দুর্গা পুজোতে শ্রীরামপুরে গান্ধি ময়দানে কল্যাণের পুজোতে এসেছি। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এই পুজোয় আসতে পেরে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধুত্ব বজায় রাখব।"
  • Link to this news (এই সময়)