জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েকদিন আগেই নবান্নে এসেছিলেন নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব। তারপরেই রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তারও আগে কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কুমারস্বামী ও অখিলেশ যাদব। এবার লোকসভা নির্বাচনের সলতে পাকাতে মমতার অনুরোধে বিরোধীদের বৈঠক ডাকলেন নীতীশ কুমার। আগামী ১২ জুন পাটনায় হচ্ছে সেই বৈঠক। রাজনৈতিক মহলের খবর, বৈঠকে থাকবে অধিকাংশ বিরোধী দল। ডাকা হয়েছে কংগ্রেসেও।
ওই বৈঠক নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটা প্রয়াস জাতীয় দলগুলি নিয়েছে। সেক্ষেত্রে নীতীশ কুমার বাড়তি উদ্য়োগ নিচ্ছেন। সবাই চাইব বিজেপি বিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হোক। কিন্তু এখানে সবার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। যেমন তৃণমূলের তা নেই। আমরা চাই তারা আসুক। তারা রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছে। বিভিন্ন সময় বিজেপির আনা বিল যথাযথভাবে করেনি। যখনই বিপদ হয়েছে তখনই মোদিজির পাশে তৃণমূলকে দেখা গিয়েছে।
সুজনের পাশাপাশি এনিয়ে সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রকৃত বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিজেপির একটা চেষ্টা থাকবে বিজেপি বিরোধিতার নাম করে কিছু ছদ্মবেশী দলকে এর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া। সেইরকম একটি দল হল মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উদ্যোগে সব দল ঐক্যবদ্ধ হবেন এবং তা হলে বিরোধী ঐক্য ভালো হবে বলে আমার মনে হয় না। কংগ্রেস ও বামেদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে প্রচেষ্টা চলছে সেটাই হবে সঠিক প্রচেষ্টা।আন্যদিকে, বামেদের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, শূন্যের প্রতিনিধির কথার কোনও গুরুত্ব থাকে কি? ৩৪ বছর বাংলাকে শোষণ করে বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করে দিয়েছে ওরা। বাংলার মানুষ যাদের রাজনৈতিক ভাবে শূন্য করে দিয়েছে। তাদের কথা কী গুরুত্ব আছে? সারা ভারতের রাজনৈতিক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসছে একটা বিরোধী ঐক্য গড়ার। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অন্যান্য রাজ্যের বাম নেতারা জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব কতটা। যে রাজ্য়ে যে দল বিজেপিকে হারাতে পারে সেই দলকে সমর্থন করা উচিত। তাই কেউ যদি নিজেকে প্রকৃত বিজেপি বিরোধী প্রমাণ করতে চায় তাহলে তার উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সমর্থন করা।বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, নিজের মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার দেখুন কোথায় তাঁর রাজ্যে বিরোধীরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেখানে বিরোধী দলের সভা করতে গেলে হাইকোর্টে যেতে হয়, ১২৮ জন বিরোধী কর্মীকে খুন হতে হয়, একজন কুড়মি নেতাকে কোচবিহারে ট্রান্সফার করা হয় আন্দোলন করার জন্য। তারা কী বিরোধী ঐক্য করবেন। দয়া করে ওই বৈঠকে অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমকে ডেকে নিলে বৈঠকটা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ হয়। তারা যদি বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করতে পারে। কংগ্রেস দুটো আসন পেয়েছে। আগামী নির্বাচনে জোট ছাড়া সেই দুটো আসন কংগ্রেসের পক্ষে ধরে রাখা সম্ভব নয়।