• ভরতপুরে মেছো বিড়াল দেখে ছড়াল বাঘের আতঙ্ক, খাঁচাবন্দি
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৩
  • সংবাদদাতা, কান্দি: রবিবার সাতসকালে ভরতপুর থানার হামিদপুর গ্রামে বাঘেশ্বর মন্দিরের পাশে গাছে বিশালাকার ফিসিং ক্যাট বা মেছো বিড়াল ঘিরে বাঘের আতঙ্ক ছড়াল। পরে সেখানে ভরতপুর থানার পুলিস ও বনদপ্তরের কর্মীরা আসেন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় মেছো বিড়ালটি খাঁচাবন্দি করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৬টা নাগাদ গ্রামের মানুষজন ঘুম থেকে উঠে সবে রাস্তায় পায়চারী করতে শুরু করেছেন। তার মধ্যে গ্রামের কয়েকজন বাঘেশ্বর মন্দিরে ফুল বেলপাতা নিয়ে পৌঁছেছেন। কিন্তু সেখানে বাসিন্দাদের চক্ষু চড়কগাছ। মন্দিরের পাশে একটি গাছের ডালে বাঘের মতো ওই জন্তুকে দেখতে পান। বাড়ির কাজকর্ম ছেড়ে প্রচুর বাসিন্দা লাঠিসোটা নিয়ে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ভিড় জমান। প্রথমদিকে কেউ জন্তুটির ধারেকাছে যেতেও সাহস করছিলেন না। এরপর জন্তুটিকে নড়তে না দেখে কয়েকজন যুবক সাহস করে এগিয়ে যান। মোবাইলে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। খবর পৌঁছায় পুলিসের কাছে। গ্রামের মানুষজন বনদপ্তরে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এরপর কয়েকজন যুবক ঢিল ছোড়ায় জন্তুটি একটি আখের জমিতে ঢোকে। গ্রামের মানুষজন চারপাশ ঘিরে ফেলেন। ততক্ষণে ভরতপুর থানার পুলিস কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে সেখানে পৌঁছয়। বাসিন্দাদের শান্ত থাকার অনুরোধ করা হয়। এরপর বনদপ্তরের কর্মীরা এসে বাসিন্দাদের বোঝান, এটি বাঘ নয়। বিলুপ্তপ্রায় ফিসিং ক্যাট বা মেছো বিড়াল। এরপর বনদপ্তরের কর্মীরা খাঁচা নিয়ে এসে বিড়াল ধরার চেষ্টা চালান। বিড়ালটি তাড়া খেয়ে একজনের বাড়িতে ঢুকে পড়লে বেলা ২টো নাগাদ খাঁচাবন্দি করা হয়। বনদপ্তরের কর্মী সঞ্জয় সরকার বলেন, এটিকে ফিসিং ক্যাট বা মেছো বিড়াল বলা হয়। এটি বিপুপ্তপ্রায় প্রাণী। কোনও কারণে এটি জঙ্গল থেকে গ্রামে চলে এসেছে। এটি দেখতে বাঘের মতো। এটি শান্ত প্রাণী ঠিকই। তবে একে উত্ত্যক্ত করলে ক্ষতি করতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ সনাতন ঘোষ বলেন, মন্দিরে এসে বিড়ালটিকে বসে থাকতে দেখি। এমন বিড়াল আগে কোনওদিন দেখিনি। তাই বাঘ ভেবে আমরা সকলেই ভয় পেয়েছিলাম।  খাঁচায় বন্দি সেই মেছো বিড়াল।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)