• দিনের আলোয় পাচারকারীদের সেফ করিডর বীরভূমের ঝাড়খণ্ড সীমানা
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৩
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: দিনের পর দিন নিরাপত্তা আলগা হচ্ছে বীরভূমের ঝাড়খণ্ড সীমানায়। ফলে নিত্য অসুরক্ষিত হয়ে পড়ছে সীমানা এলাকা। ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। তাঁদের অভিযোগ, ইদানিং জেলার আনাচে কানাচে লাগাতার উদ্ধার হচ্ছে বেআইনী আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। অথচ বিনা বাধায় প্রতিবেশি ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে প্রতিদিন জেলায় ঢুকছে অসংখ্য গাড়ি। সীমানায় পুলিসের নাকা চেকিং-এর ব্যবস্থা থাকলেও তা ঢিলেঢালা। ফলে বীরভূমে ঢোকার কার্যত কোনও বাধার মুখে না পড়ে দিনের আলোয় দূষ্কৃতিদের কাছে  সেফ করিডোর হয়ে উঠেছে এই রাস্তা। 

    বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার শেওড়াকুড়ি মোড় থেকে ঝাড়খণ্ডের অভিমুখে মহিষখালার কাছে রয়েছে দুই রাজ্যের সীমানা। এই দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাই খুবই গুরুত্বপুর্ণ এই রাস্তাটি। সেটি বীরভূম থেকে ম্যাসাঞ্জোর ড্যাম হয়ে ঝাড়খণ্ডের দুমকাতে গিয়ে মিলিত হচ্ছে। প্রতিদিন সরকারি বেসরকারি বাস থেকে শুরু করে ছোট বড় যাত্রী ও পণ্যবাহি গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক, নির্মাণ সামগ্রী, মাদক দ্রব্য ইত্যাদি পাচারের পাশপাশি জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের মুঙ্গের থেকে এই রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্রও পাচার করেছে দূষ্কৃতিরা এই রাস্তা দিয়েই। দাবি পুলিসের একাংশের। জেলা পুলিসের এক আধিকারিক জানান, জেলার প্রতিটি ঝাড়খণ্ড সীমানায় নাকা চেকিং বাড়ানো হয়েছে। 

    সেই অনুযায়ী মহিষখালা ঝাড়খণ্ড সীমানাতেও রাস্তার ধারে রয়েছে সক্রিয় পুলিস পিকেট। মহিষখালার বাসিন্দা লক্ষ্মীরাম মুর্মু, শিবদাস বাগদীরা অবশ্য বলছেন, নামেই নাকা চেকিং, কাজের কাজ কিছুই হয় না। দিনের বেলা অবাধে মালবোঝাই গাড়ি যাতায়াত করে, কিন্তু পুলিস তাঁদের ধরেও না, জিজ্ঞাসাও করে না। অথচ একাধিকবার দেখা গিয়েছে দিনের বেলা পাচার হয়েছে অবৈধ সামগ্রী। পুলিস জেনেও দিনে নিষ্ক্রিয়, রাতে সক্রিয়। এখানে পুলিসের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জেলা পুলিস সুপার রাজ নারায়ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন।   নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)