• শেওড়াকুড়ি থেকে মহিষখালা রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি, কখনও ধুলো, কখনও কাদায় দুর্ভোগ
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৩
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: শেওড়াকুড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডগামী রাস্তার বেহাল দশা। গোটা রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে উঠেছে। বীরভূম থেকে ম্যাসাঞ্জোর হয়ে ঝাড়খণ্ডের দুমকা যাওয়ার মূল রাস্তা এটি। প্রতিদিন দুই রাজ্যের প্রায় হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। এই রুটে প্রতিদিন অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি বাস এবং ছোট বড় গাড়ি এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। বীরভূমের চরিচা জঙ্গলের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝখান দিয়ে ম্যাসাঞ্জোরে গিয়ে মিশেছে এই রাস্তা। তাই প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া এই রাস্তার দুই ধারের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদেরও সিউড়ি বা ঝাড়খণ্ড যাতায়াতের মূল রাস্তা এটি। এলাকার বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য এই রাস্তা দিয়েই মুমুর্ষু রোগীকে সিউড়ি বা মহম্মদবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়।  মহম্মদবাজার ব্লকের ভুতুরা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শেওড়াকুড়ি মোড় থেকে মহিষখালা পর্যন্ত বীরভূমের অধীনে রয়েছে এই রাস্তা। এর পরই রয়েছে ঝাড়খণ্ড সীমানা। সীমানার ওপারে ঝাড়খণ্ডের অধীনে থাকা রাস্তাটির অবস্থা খুবই ভালো। কিন্তু বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে বীরভূমের অধীনস্থ প্রায় সাত-আট কিলোমিটার রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তাটির বেশকিছুটা অংশ ভালো রয়েছে। বাকি অংশ খানাখন্দে ভরে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানাখন্দে জল জমে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে রাস্তাটি। তাছাড়া অন্য সময়ে বড় বড় গাড়ি চলাচলে ধুলোয় ভরে ওঠে গোটা এলাকা। আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার ধুলোয় দুই ধারে থাকা গ্রামগুলি ভরে ওঠে। 

    সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। তাছাড়া রাস্তার ধুলোতে চরিচা জঙ্গলের গাছের সৌন্দয নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় শুকনাগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এক পথচারী সতীশ মুর্মু বলেন, এই রাস্তাটি আগে খুবই ভালো ছিল। ইদানীং রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং ভারী যান চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া জঙ্গলের মধ্য দিয়ে এই রাস্তা যাওয়ার ফলে রাতের বেলা রাস্তাটি অন্ধকার হয়ে পড়ে। বিশাল চরিচা জঙ্গলে এখন আর কোনও হিংস্র জন্তু নেই। তবে মাঝে মাঝে ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে নানা হিংস্র প্রজাতির জন্তুর এখনও যাতায়াত রয়েছে বলে আমরা শুনতে পাই। তাই স্থানীয় বাসিন্দা এবং দুই রাজ্যের পথচারীদের জন্য এই রাস্তায় পথবাতি দেওয়া খুবই জরুরি। কারণ আমরা দিনে-রাতে এই রাস্তা দিয়েই সিউড়ি বা কাছাকাছি গ্রামে যাতায়াত করি। 

    জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এই রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে শীঘ্রই।  শেওড়াকুড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডগামী রাস্তার বেহাল দশা। -নিজস্ব চিত্র     
  • Link to this news (বর্তমান)