• ১০০ দিনের কাজে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার মাঠের নিকাশি ব্যবস্থা ও বনসৃজনে ক্ষতির আশঙ্কা
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৩
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: একশো দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া পাওনা দীর্ঘদিন ধরেই আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এর ফলে মাঠে নিকাশির পাশাপাশি বনসৃজন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পরে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সময় মতো বনসৃজন না হলে পরিবেশে তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি নার্সারির কর্মীরা গাছের চারা তৈরি করলেও বনসৃজন না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত নার্সারিগুলি গাছের চারা সরবরাহের বরাত পায়নি। ফলে তারাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, নিকাশি ঠিকমতো না হওয়ায় চাষবাসের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    অভিযোগ, দু’বছর হয়ে গেল কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না রাজ্যকে। ফলে হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এর ফলে শ্রমিকরা যেমন সমস্যায় পড়েছেন, তেমনই উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সম্পদ সৃষ্টির একাধিক কাজের মধ্যে অন্যতম হল বনসৃজন। আগে বনসৃজনের জন্য প্রতি বছর এই সময় পঞ্চায়েত এলাকায় গাছ লাগানোর উৎসব শুরু হয়ে যেত। এর ফলে শ্রমিকরা যেমন কাজ পেতেন, তেমনই নার্সারিগুলি গাছের চারা সরবরাহ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতো। বনসৃজন হলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকরাও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আগ্রহ হারাচ্ছেন। নার্সারির মালিকরাও চারা বিক্রি করতে না পেরে হতাশ।

    আগে ১০০ দিনের প্রকল্পে মাঠের নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কার করা হতো। এর ফলে বর্ষার সময় অতিরিক্ত জল জমি থেকে সহজেই বেরিয়ে যায়। আবার গ্রীষ্মকালে জোয়ারের জল ঢোকে। এতে চাষিরা উপকৃত হন। যদিও বর্তমানে এইসব কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারাও সমস্যায় পড়েছেন। 

    এ ব্যাপারে হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ বলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আমরা বহু উন্নয়নমূলক কাজ করতাম। তার মধ্যে ন্যাচা খাল সংস্কার থেকে বনসৃজন রয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ না হওয়ায় শুধু চাষি নয়, পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)