• প্রধানমন্ত্রীর আত্মপ্রচারের দিনেই এককাট্টা সব বিরোধী দল ১২ জুন মহাজোটের প্রথম বৈঠক পাটনায়
    বর্তমান | ২৯ মে ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের অবয়ব। কয়েকমাস আগে যে প্রচেষ্টার শুরু, তারই ফলশ্রুতিতে আগামী ১২ জুন বিহারের পাটনায় মিলিত হতে চলেছে বিজেপি বিরোধী প্রায় সবক’টি বড় রাজনৈতিক দল। প্রবাদপ্রতিম জননেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের পাটনার মাটি থেকেই সেদিন বেজে উঠবে মহাজোটের দামামা। উদ্দেশ্য পরিষ্কার—তৃতীয়বারের জন্য বিজেপিকে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসতে দেওয়া যাবে না। ভূলুণ্ঠিত গণতন্ত্রের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে হবে। 

    কিছুদিন আগে মহাজোটের মহড়া পর্বে নবান্নে এসেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। সেদিনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাটনায় এই বৈঠক ডাকার পরামর্শ দেন তাঁকে। সেই মতো কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে যায় দলগুলি। অবশেষে যে বিশেষ দিনে প্রস্তাবিত মহাজোটের প্রথম বৈঠকের কথা সামনে আনা হল, তা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ধর্মীয় রীতিনীতির মাধ্যমে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছেন। এই দিনেই গেরুয়া শিবিরকে সম্মিলিত বিরোধীদের বার্তা—জমকালো ‘রাজ্যাভিষেক’ হলেও এবার আর সহজ হবে না মোদি ব্রিগেডের ‘দেশ-দখল’। 

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব তো বৈঠকে থাকছেনই। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকী, আমেরিকা থেকে ফিরে বৈঠকে যোগ দিতে পারেন রাহুল গান্ধীও। কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হলেও ‘অভিন্ন শত্রু’-কে কুপোকাত করতে মহাজোটে সায় দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। অখিলেশ যাদব, স্ট্যালিন, জগন্মোহন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার সহ আরও কয়েকটি দলের নেতৃত্বকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে সিংহভাগ নেতানেত্রী বৈঠকে হাজির হবেন বলে জানা যাচ্ছে। মমতা আগের দিন, ১১ জুনই পাটনায় পৌঁছে যেতে পারেন। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, পাটনায় হবে সূচনা বৈঠক। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, আলোচনা তত গতি পাবে। ভোটের আগেই চূড়ান্ত রূপ নেবে মহাজোট। 

    কোন অঙ্কে একজোট হতে চলেছে এতগুলি দল? ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাত্র ৩৭.৭ শতাংশ ভোট পেয়েই নিরঙ্কুশ সরকার চালাচ্ছেন মোদি। বিজেপির সহযোগী কয়েকটি দলের প্রাপ্ত ভোট জুড়লেও তা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি আসে না। অর্থাৎ, গত লোকসভাতেই মোদি বিরোধিতায় প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এই অংশটিকে একজোট করতে চাইছে বিরোধীরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)