• Bayron Biswas: 'তৃণমূলের টিকিটের চেষ্টা করেও পাইনি', দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ মে ২০২৩
  • প্রবীর চক্রবর্তী: প্রবল হইচই ফেলে দিয়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। জোর ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস সেই জয়ী প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস যোগ দিলেন তৃণমূলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন বাইরন। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই শিবিব বদল করলেন কংগ্রেস বিধায়ক।

    সোমবার ঘাটালে দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে জোড়া ফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন বাইরন বিশ্বাস। সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ের পর তিন মাসের মধ্যেই ঘাসফুল শিবিরে চলে গেলেন বাইরন বিশ্বাস। রাজনৈতিক মহলের মতে বাইরনের তৃণমূলে যোগদান বিরোধী শিবিরে একটি বড় ধাক্কা। কারণ বিরোধীরা বলতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাগরদিঘি একটা মডেল। বামেদেরও দাবি ছিল তৃণমূলকে হারানো যায়। বাইরন তা প্রমাণ করেছে। সেই সাগরদিঘি মডেলও এবার বড় ধাক্কা খেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

    সাগরদিঘির উপনির্বাচন নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। কেন্দ্রটি তৃণমূলের জেতা আসন ছিল। সেখানে জিতেছিলেন সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুর পরই আসনটি খালি হয়ে য়ায়। ওই আসনে বাইরন বিশ্বাস জেতার পর বিরোধীরা বলতে শুরু করে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে।সাগরদিঘির উপনির্বাচন নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। কেন্দ্রটি তৃণমূলের জেতা আসন ছিল। সেখানে জিতেছিলেন সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুর পরই আসনটি খালি হয়ে য়ায়। ওই আসনে বাইরন বিশ্বাস জেতার পর বিরোধীরা বলতে শুরু করে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে।তৃণমূলে যোগ দিয়ে কী বললেন বাইরন? অভিষেকের পাশে বসে বাইরন বলেন, সাগরদিঘিতে যে জয়ী হয়েছি  তার পেছনে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না। বরবারই আমরা তৃণমূল করে আসছি। তৃণণূলের কাছ থেকে চিকিট পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত টিকিট পাইনি বলেই কংগ্রেসের কাছ থেকে টিকিট নিতে হয়েছিল। এই জয় কংগ্রেসের যদি অবদান থাকত তাহলে ২০২১ সালে একটা সিটেও কেন তারা জিততে পারেনি। আমি বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকলে আগামী দিনে মানুষ এক জবাব দেবে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও বিপুল ভোটে জয়ী হতে পারব বলে বিশ্বাস করি। আরও ভালো ভাবে কাজ করতে পারব। কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। এটা বাস্তব। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। আর কোনও বিকল্প নেই। অধীরবাবু বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলছেন না। উনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেন না। এনিয়ে যতটা পেরেছি ওঁর সঙ্গে কথা বলেছি। বাইরনের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, খবরটা শুনে আমি শকড্। মানুষ কাদের উপরে আর ভরসা রাখবে? সাগরদিঘির মানুষ স্রোতের বিপক্ষে গিয়ে শাসকদলকে যোগ্য জবাব দিয়েছিল। যাকে সেনাপতি হিসেবে সাগরদিঘির মানুষ নিয়োগ করেছিল তিনি এখন ব্যর্থ। কেন উনি তৃণমূলে গিয়েছেন, কী তার শর্ত তা আমি জানি না। এভাবে দল ত্যাগ করা অনুচিত। বাইরনবাবুর উচিত পদত্যাগ করে নতুন করে ভোটে লড়া। সাগরদিঘির মানুষের সঙ্গে বাইরন প্রতারণা করেছে বলে সাগরদিঘির মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত বদল করে ফেলবে এমন যদি কেউ ভেবে থাকেন তাহলে তারা ভুল করবেন। সেখানকার মানুষ ঠিকই করেফেলেছেন তাঁরা কী করবেন।সাগদিঘির বিধায়কের কংগ্রেস ত্যাগ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অনেকের কাছে এটা শোকাহত হওয়ার মতো খবর হলেও এটা হওয়ারই ছিল। বাইরন জানে কংগ্রেস যে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের কথা বলছে তা আসলে বিজেপির দালালি। আসলে তৃণমূলের ভোট কাটার কাজ করছে। বাইরন দেখেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূল একটা প্লাটফর্ম। এতে বাংলার কাজ করা যাবে। যারা এতদিন সাগরদিঘি মডেলের কথা বলছিলেন তারা এখন শোকসভা করুন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)