• নেশার ঘোরে বচসা, দোকান মালিকের মদের বোতলের ঘায়ে মৃত্যু কর্মচারীর
    প্রতিদিন | ২৯ মে ২০২৩
  • দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মদ্যপানের সময় দোকান মালিকের সঙ্গে কর্মচারীর বচসা। মদের বোতলের আঘাতে মৃত্যু হল কর্মচারীর। মৃত কর্মচারীর নাম বাবুলাল মাণ্ডি(৪৫)। বাড়ি পাণ্ডুয়া থানার বৈঁচি গ্রামে। রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দোকানের ভিতরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে পড়েছিলেন ওই কর্মচারী। রাতের দিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগে দোকান মালিক সুভাষ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ।

    রবিবার সকালে বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার জন্য বের হন বাবুলাল। দুপুরে প্রত্যেক দিন বাড়িতে খেতে আসতেন তিনি। রবিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও বাবুলাল ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ইতিমধ্যে বৈঁচি গ্রামে জিটি রোডের ধারে একটি হার্ডওয়ারের দোকানের ভিতর থেকে গোঙানির আওয়াজ শুনে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। দোকানের দরজা ভেজানো ছিল। স্থানীয়রা দোকানের ভিতর ঢুকে দেখেন বাবুলাল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন। পাশেই পড়ে আছে ভাঙা মদের বোতল।

    রক্তাক্ত অবস্থায় বাবুলালকে উদ্ধার করে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতের দিকে মৃত্যু হয় বাবুলাল মাণ্ডির। পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে বাবুলাল ওই হার্ডওয়্যারের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। দোকান মালিক সুভাষ চট্টোপাধ্যায় ও বাবুলাল দু?জনেই দোকানে বসে মদ খায়।

    পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এরপর ওই মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু?জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। দোকান মালিক মদের বোতল দিয়ে বাবুলালের মাথায় আঘাত করে। পুলিশ জানিয়েছে, মদের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করার জন্যই মৃত্যু হয়েছে বাবুলালের। এই ঘটনায় দোকান মালিক সুভাষ চট্টোপাধ্যায়কে রাতেই খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। অন্যদিকে, বাবুলালের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)