Death Sentence In POCSO Case : শিশুপুত্রকে যৌন হেনস্থা করে খুন, অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা
এই সময় | ২৯ মে ২০২৩
ন'বছরের একটি শিশুপুত্রকে যৌন হেনস্থা এবং হত্যার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিতে মৃত্যুদণ্ডের সাজা। সোমবার এই নজিরবিহীন ঘটনায় সাজা ঘোষণা করেছে মথুরার পকসো আদালত। এমনটাই জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে।
মাত্র ১৫টি কর্মদিবসের মধ্যেই এই সাজা ঘোষণা করেছে পকসো আদালত। যা কার্ত নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। মথুরার ঔরঙ্গাবাদ এলাকার বাসিন্দা ন'বছরের ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তার বাবা সদরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি।
ঠিক তার পরদিনই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত মহম্মদ সইফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কানপুরের বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত বর্তমানে ঔরাঙ্গাবাদে থাকতে শুরু করেছিলেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর কাকার দোকানে কাজ করত এই ব্যক্তি।
পুলিশি জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করে অভিযুক্ত। সে জানায় শিশুটিকে যৌন হেনস্থা করেছে। তারপর জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে সে ছেলেটিকে খুন করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি ড্রেনে ফেলে দিয়ে আসে ন'বছরের শিশুর দেহ।
এরপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৬৩, ৩০২, ২০১ এবং ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পকসো আইনেপ মামলা রুজু করা হয় অভিযুক্ত মহম্মদ সইফের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর বিষয়টি আদালতে উঠলে সেখানে বিশেষ বিচারপতি তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়।
সম্প্রতি, বোনের উপর হওয়া ধর্ষণের ঘটনার প্রতিশোধ নেয় ভাই। তিন বছর আগে এক দু্ষ্কৃতীর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বোন। ঘটনার প্রতিশোধ নিতে অনেকদিন ধরেই সুযোগ খুঁজছিল ভাই। কয়েকদিন আগে আদালতে তোলার সময় অভিযুক্তের উপর হামলা চালায় সে। পরে পুলিশের হাতে সেও গ্রেফতার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের একটি আদালত চত্বরে। ঘটনাটি ২০২০ সালের। প্রতাপগড়ের কোতোয়ালি থানা এলাকার সিয়ারাম কলোনির বাসিন্দা অটল বিহারী প্যাটেলকে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। সেই সময়ই নাবালিকার ভাই এই হামলা চালায়।