• তীব্র দাবদাহে জলকষ্টে ওষ্ঠাগত প্রাণ! গোসাবায় ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের
    এই সময় | ২৯ মে ২০২৩
  • Water Crisis : গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। ঠিকঠাকভাবে বৃষ্টিরও দেখা নেই। যার ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে শুরু হয়েছে প্রবল জলকষ্ট। প্রকৃতির নিয়মে চারদিকে অফুরন্ত জল থাকলেও দ্বীপাঞ্চলে ভূর্গভস্থ জলস্তর নেই বললেই চলে। তাই বৃষ্টির জল সংরক্ষনের পর পরিশোধিত করে সেই জল পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে যায় এলাকায়। পাশাপাশি গোসাবা বাজার সংলগ্ন যে লম্বা জলাশয় রয়েছে সেখান থেকে জল তুলে পরিশোধিত করে জনসাস্থ্য কারিগরি দফতর। সেই জল পাইপলাইনের মাধ্যমে গোসাবা পঞ্চায়েত এলাকায় রিজার্ভারের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় দেওয়া হচ্ছে।

    গোসাবা বাজার সংলগ্ন লম্বা যে জলাশয় রয়েছে সেখানে যেমন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জল তুলছে, পরিশোধিত করে তাঁরা পাঠাচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার মানুষেরা তাঁরা বাড়ির জন্য ওই জলাশয় থেকে জল তুলে বাড়িতে ব্যবহার করছে। কিন্তু সেই পুকুরেও জল শুকিয়ে যাচ্ছে এই গরমের সময়।

    যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন গোসাবা পঞ্চায়েত এলাকার হাজার হাজার মানুষ। একটু জলের সন্ধানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেলে বা ভ্যানে চেপে পাড়ি দিচ্ছেন দূরদূরান্তে। অনেকে আবার জল কিনে খাচ্ছেন বলে দাবি করলেন।

    বিশেষ করে এই গরমের সময় জলাশয়ের জল শুকিয়ে গেলে বাইরে থেকে জল কিনে খাওয়া ছাড়া তাঁদের কোনও উপায় নেই বলে সেই এলাকার গ্রামবাসীরা জানান। স্থানীয় এক বাসিন্দা এই বিষয়ে জানান, “জলের এই কষ্ট আজ থেকে না, সেই ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয়েছে। মাঝে কিছুদিন ঝড় বৃষ্টি হয়েছে ঠিক কথা, কিন্তু তা এত এত মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়।

    প্রশাসন দেখেও কিছু যদি দেখতে না পায় তাহলে আর বলার কিছুই নেই আমাদের। অনেকবার গ্রামের মানুষরা সম্মিলিত ভাবে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি”। আরেক বাসিন্দা জানান, “জলের জন্য আমাদের অনেক দূরে যেতে হচ্ছে। বাড়ির কাজে সমস্যা হচ্ছে।

    ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরও অনেক সমস্যা হচ্ছে এই জল সমস্যার জন্য। অনেক সময় পড়াশোনা ফেলে রেখে তাঁদেরও আমাদের সঙ্গে যেতে হচ্ছে জল আনতে”। গোসাবার BDO বিশ্বনাথ চৌধুরি ও গোসাবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গুরুপ্রসাদ মণ্ডল জলকষ্টের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। BDO বিশ্বনাথ চৌধুরি জানান, “গাড়িতে করে জল গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গরম বাড়ায় জলকষ্ট বেড়েছে। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি”।
  • Link to this news (এই সময়)