• বনসহায়কের পদে আবেদন MA-ITI-PHD ডিগ্রিধারীদের! উচ্চশিক্ষিতদের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে শুরু তরজাও
    এই সময় | ২৯ মে ২০২৩
  • কেউ স্নাতকোত্তর, কেউ পিএইচডি তো কেউ আবার আইটিআই ট্রেনিং নিয়েছেন। চাকরির জন্য দাঁড়িয়ে আছে লাইনে। চাকরি রাজ্যে বন সহায়ক পদের। যার জন্য অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতার প্রার্থী দরকার। গতবারের বন সহায়ক পদের নিয়োগ তালিকা বাতিল হয়েছে আদালতের নির্দেশে। এবার অন্তত দুর্নীতিকে সরিয়ে রেখে নিয়োগ হোক, চাইছেন চাকরি প্রার্থীরা।

    রাজ্য সরকারের বন দফতর এর উদ্যোগে ফের আবার নতুন করে বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নেওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ, ২৯ মে সেই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। অষ্টম শ্রেণীর যোগ্যতা সম্পন্ন চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

    কিন্তু দেখা যাচ্ছে বন সহায়ক পদে আবেদন করছেন এম এ, বিএ, এমনকি আইটিআই পাস করা চাকরি প্রার্থীরাও। ইংরেজ বাজার শহরে এলআইসি মোড় বনদপ্তরের অফিসের সামনে সকাল থেকেই আবেদন পত্র হাতে নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিশাল লম্বা লাইন‌ দেখা যাচ্ছে।

    চাকরি প্রার্থী আব্দুল বারিক বলেন, "বেকারত্বের হার বাড়ছে।" সেই কারণে সকলেই আবেদন করছে। তাঁর কথায়, " এমএ, পিএইচডি, স্নাতক সবাই আবেদন করছে। কারণ, বেকারত্ব যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে।" চাকরি প্রার্থীরা জানান, চাকরি নিয়ে তোলাবাজি কারণেই গতবারের তালিকা বাতিল করা হল। এবার যেন আর কোনওভাবেই দুর্নীতি না হয়, সে ব্যাপারেই আর্জি জানান তাঁরা।

    বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানান, ২০২০ সালে আমরা দেখেছিলাম এই বন সহায়ক প্রক্রিয়া য় নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা এমনকি মন্ত্রীরা টাকা নিয়ে এই বন সহায়ক চাকরি অনেকেই দিয়েছিল। এইবার এই বন সহায়ক নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে সম্পূর্ণ হবে স্বচ্ছ হোক, সেই বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি নজর রাখছেন। কোথাও যদি কোন গাফিলতি হয় তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে কথা বলবে না।

    তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু জানান, বিগত দিনে যা ঘটনা ঘটেছে, সেক্ষেত্রে আদালত সেটার রায় দিয়েছেন। আবার নতুন করে কোর্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করার বিষয় নির্দেশও দিয়েছে। আমরা যে কোনও বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টকে সম্মান করি। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।

    ২৯ তারিখ দুপুর পর্যন্ত মালদা জেলাতে শুধুমাত্র প্রায় ১৭ হাজার চাকরি প্রার্থীরা বন সহায়ক পদে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে প্রায় তেরো হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনটি জেলা নিয়ে প্রায় ৩০ হাজার চাকরি প্রার্থী বন সহায়ক পদে আবেদন করেছে।
  • Link to this news (এই সময়)