• Uganda Anti LGBTQ Law : সমলিঙ্গের ২ জন সঙ্গম করলেই ফাঁসি! সর্বনেশে আইন উগান্ডায়
    এই সময় | ৩০ মে ২০২৩
  • পশ্চিমী দেশগুলির রক্তচক্ষুতেও সুর বদল হল না। কট্টরপন্থী ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে সমলিঙ্গ সম্পর্ক বিরোধী কঠোরতম আইন প্রণয়ন করল উগান্ডা সরকার। নয়া আইন অনুযায়ী, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সমলিঙ্গে যৌন মিলনের ‘অপরাধে’ ফাঁসি পর্যন্ত হতে পারে।

    সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশের এই দেশের প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনির মুখপাত্র এই নয়া আইন প্রণয়নের ঘোষণা করেছেন। আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশের মতো উগান্ডাতেও সমলিঙ্গ সম্পর্ক বেআইনি।

    নয়া আইনে এই সম্পর্ককে অপরাধের আঙিনায় না ফেলা হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে ফাঁসির সাজার সংস্থান রাখা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, HIV-র মতো রোগীর সঙ্গে সমলিঙ্গের কোনও ব্যক্তি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে বা নাবালক-নাবালিকাদের মধ্যে এরকম সম্পর্ক হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে ফাঁসি পর্যন্ত হতে পারে।

    উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনির ভূয়সী প্রশংসা করে সে দেশের সংসদের স্পিকার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এই বিলে সই করার মাধ্যমে দেশবাসীর আবেদনে সাড়়া দিলেন।’

    গত এপ্রিলে এই নিয়ে একবার উগান্ডার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়েছিল। একটি প্রশ্ন তুলে জাতীয় সংসদে সমলিঙ্গ সংক্রান্ত এই বিলটি ফেরত পাঠিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ড মুসেভেনি। তাঁর দাবি ছিল, LGBTQ ও সমলিঙ্গে যৌন মিলনকে পৃথক করে দেখতে হবে এবং বিলে সেই সংস্থান থাকা বাধ্যতামূলক।

    প্রেসিডেন্টের মতলব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল প্রগতিশীল ও কট্টরপন্থী উভয়পক্ষই। অনুদান দিয়ে উগান্ডার অর্থনীতিকে সচল রাখা বিদেশি শক্তিদের রক্তচক্ষু সামলে আদৌ এই বিল আইনে রূপ নিতে পারবে কি না প্রশ্ন উঠেছিল তা নিয়েও। এমনই দোলাচলের মধ্যে চলতি মাসে জাতীয় সংসদে পাশ হয় বিলটি। সাংসদদের গরিষ্ঠ অংশের অনুমোদন পাওয়ার পর আর অপেক্ষা করতে চাননি প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি। তড়িঘড়ি স্বাক্ষর করে আইনে রূপান্তরিত করে দেন।

    এদিকে পূর্ব আফ্রিকার এই গরিব দেশ এমন মধ্যযুগীয় আইন পাশ করানোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা। বিল নিয়ে আলোচনার সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর তীব্র বিরোধিতা করেছিল।

    সেই সূত্র ধরে উগান্ডার শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আমেরিকাও। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পিছনে মার্কিন অনুদানের বিশেষ অবদান রয়েছে। এবার ক্ষিপ্ত হয়ে যদি জো বাইডেন নিষেধাজ্ঞা জারি করে বসেন এবং ইউরোপের দেশগুলিও সেই পথ অনুসরণ করে তবে কার্যত না খেয়ে মরতে হবে উগান্ডাকে।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি সে দেশের সংবাদমাধ্যমে পড়ুয়াদের যৌন নির্যাতনের খবর নিত্যদিন হেডলাইন হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সে দেশে।
  • Link to this news (এই সময়)