• নদীতে স্নান করতে নেমে রহস্যজনক মৃত্যু ছৌ নাচ শিল্পী সহ ২! চাঞ্চল্য পুরুলিয়া
    এই সময় | ৩০ মে ২০২৩
  • West Bengal News : এক ছৌ নাচ শিল্পী সহ ২ জনের রহস্যজনক মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সোমবার দুপুরে বাঘমুন্ডি ঝালদা রাজ্য সড়কের উপর কাররু নদী সেতুর কিছুটা নিচে নদীর মধ্যে থাকা একটি খালের জলে দু’জন কে ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ারের মারফৎ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ।

    সঙ্গে সঙ্গে ওই দুজনকে উদ্ধার করে বাঘমুন্ডি ব্লকের পাথরডি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে।

    ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুজনের মধ্যে একজনের নাম নিধিরাম মাহাতো। বয়স আনুমানিক ৫৫। বাড়ি বাঘমুন্ডি থানার তোরাং গ্রামে। পেশায় তিনি একজন ছৌ শিল্পী। অপরজনের নাম করম চাঁদ কর্মা। বয়স আনুমানিক ৫৬।

    বাড়ি বাঘমুন্ডি থানার কাশিটার গ্রামে। তবে দুটি পৃথক গ্রামের দু’জন বাসিন্দা একসঙ্গে কিভাবে নদীতে স্নান করতে গিয়ে মারা গেলেন, তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান নদীতে স্নান করতে গিয়েই কোনও ভাবে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাদের।

    যদিও পুরো ঘটনা কি ভাবে ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ । নিধিরাম মাহাতোর ভাইপো স্বপন মাহাতো এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, "আমার কাকা প্রায় প্রতিদিনই ওই এলাকায় স্নান করতে যেতেন। কোনোদিন কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এদিন কাকা আর বাড়ি না ফেরায় শেষ পর্যন্ত খোঁজ করতে বের হই। ওই এলাকায় গিয়েই স্থানীয়দের কাছে শুনতে পাই দুটি দেহ পাওয়া গিয়েছে।

    তারপর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পাই যে আমার কাকার দেহ ।" ভাইপো আরও জানান, নিধিরাম মাহাতো নিঃসন্তান। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী বর্তমান। নিধিরাম মাহাতোর সঙ্গে পাওয়া আরেকজনের দেহ নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি স্বপন মাহাতো।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, "আমরা খালের দিকে গিয়ে দুটি দেহ জ্বলে ভাসছে তা দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই ব্যাপারে জানাই। তাঁর মারফত খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুটি দেহ নিয়ে যায়।"
  • Link to this news (এই সময়)