• Japan: আচার আচরণ অস্বাভাবিক! সহকারী ছেলেকেই তাড়ালেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী
    এই সময় | ৩০ মে ২০২৩
  • আচার-আচরণ ঠিক নেই। তাই ছেলেকে সহকারীর পদ থেকে সরিয়ে দিলেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সোমবার ছেলেকে অপসারণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বর্তমানে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সচিব পদে রয়েছেন কিশিদা পুত্র শোতারো। আগামী বৃহস্পতিবারই সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কিশিদা। সম্প্রতি জাপানের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় কিশিদা পুত্র ও তাঁর আত্মীয়দের ছবি প্রকাশিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর বাসবভবনে তোলা সেই ছবিতে শোতারোকে পডিয়ামের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক হলে পডিয়ামের ওই জায়গায় দাঁড়ান কিশিদা। জাপানি সাপ্তাহিক পত্রিকাটির দাবি, বাবার জায়গায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠকের ভান করছিলেন শোতারো।

    Viral Video: ফুচকার প্রেমে মজে জাপানের প্রধানমন্ত্রী! আর এই খবর প্রকাশিত হতেই জাপান জুড়ে শুরু হয় শোরগোল। বিষয়টি কানে জেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার এই ইস্যুতে মুখ খোলেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। কিশিদা বলেন, “সকলের সামনে কী রকম আচরণ করা উচিত, তা বোধ হয় ভুলে গিয়েছে শোতারে। রাজনৈতিক সহকারী হতে হলে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হয়। কিন্তু আমার ছেলের আচরণ মোটেই স্বাভাবিক নয়। সেই কারণেই এই পদে অন্য কাউকে আনার কথা ভেবেছি।”

    চলতি মাসেই জাপানের হিরোশিমায় G-7 ভুক্ত দেশগুলির বৈঠক বসেছিল। এছাড়া এই শহরেই কোয়াড বৈঠক হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, পরপর দু’টি বড় বৈঠক হওয়ায় দেশে জনপ্রিয়তা বেড়েছে কিশিদার।

    কিন্তু এই আবহে ছেলে শোতারের ওই ছবি প্রকাশিত হওয়ায় বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ছেলেকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    জাপানি সংবাদ সংস্থা Kyodo-র প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ইস্যুতে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা তথা সাংসদ সেইজি ওসাকা বলেন, “ছেলেকে আড়াল করতে সব রকমের চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে আগেই তাঁর পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।”

    পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী সচিব পদে এবার অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন জাপানের ওই বিরোধী নেতা। “আমার মনে হয়, অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। কিশিদা নিশ্চয়ই অযোগ্য কাউকে খুঁজে বের করেছেন। এবার তাঁকেই প্রধানমন্ত্রীর সচিব করা হবে।

    যার পরিণাম ভুগতে হবে দেশকে।” সোমবার সংবাদমাধ্যমককে বলেন ওসাকা।
  • Link to this news (এই সময়)