• সুদর্শন চক্রে কাটা পড়লেন CSK বোলাররা, ৯৬ করে রেকর্ড চেন্নাই এক্সপ্রেসের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ মে ২০২৩
  • চেন্নাইয়েই জন্ম সাই সুদর্শনের। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন তামিলনাড়ুর হয়েই। যে শহরে সুদর্শনের জন্ম, সেই চেন্নাই সুপার কিংসেপ বিরুদ্ধেই আইপিএল ফাইনাল খেলতে নেমে ঝড় তুললেন সাই সুদর্শন। বিপাকে ফেললেন সিএসকে-কে। তাঁর দাপটেই রেকর্ড স্কোর করল গুজরাট টাইটান্স। সাই সুদর্শন নিজেও নজির গড়ে ফেললেন।

    সাই সুদর্শন গত বারের আইপিএলে প্রথম খেলেন। গুজরাটে হয়েই অভিষেক হয় তাঁর। সে বার পাঁচ ম্যাচে ১৪৫ রান করেছিলেন তিনি। এ বার আট ম্যাচে ৩৬২ রান করেছেন সাই সুদর্শন। তিনটি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তবে এ দিন তিনি গড়ে ফেলেন অনন্য নজির। ভেঙে দেন মণিশ পাণ্ডের ৯ বছর আগের রেকর্ড।

    এ দিন সাই সুদর্শন তিনে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ বলে ৯৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। সেই সঙ্গে তিনি গড়ে ফেলেন বড় নজির। আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে আইপিএল ফাইনালে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েন চেন্নাই এক্সপ্রেস। মণিশ পাণ্ডে ২০১৪ আইপিএল ফাইনালে ৯৪ রান করেছিলেন। সেই নজির এ দিন ভেঙে দেন সাই সুদর্শন। এ ছাড়া ২০১২ সালে মনবিন্দর বিসলা আইপিএল ফাইনালে ৮৯ রান করেছিলেন। ২০১৪ আইপিএল ফাইনালে মনন ভোরা করেছিলেন ৬৭ রান। তবে আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে বাকিদের পিছনে ফেললেন সাই সুদর্শন।

    মরশুমের শুরুতে ফিল্ডিংয়ের গুরুতর চোট পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের নামী তারকা কেন উইলিয়ামসন। তাঁর পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় সাই সুদর্শনকে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েই নজর কাড়েন ২১ বছরের সাই। যদিও কয়েক ম্যাচে তাঁকে খেলানো হয়নি।

    ফিনিশারের খোঁজে দলের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া খেলান মনোহরকে। কিন্তু বেশি দিন বসিয়ে রাখা যায়নি সুদর্শনকে। আর আসল ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন সুদর্শন। ধোনিরা তাঁকে কী করে থামাবে, সেই নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। ওয়ান ডাউনে নেমে চেন্নাইয়ের বোলিং নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেন বাঁ-হাতি ব্যাটার।‌ শুরুটা মন্থর হলেও, পরে মেক আপ করে দেন। ৩৩ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন সুদর্শন। পরে ৪৭ বলে ৯৬ রান করে আউট হন তিনি। সাই সুদর্শনের ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ছ'টি ওভার বাউন্ডারি।

    টস হেসে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ঋদ্ধিমান সহা এবং শুভমন গিল ভালোই করেছিলেন। গিল ম্যাচে দু’বার জীবনদান পান, তার পরেও অবশ্য এ দিন বড় রান করতে পারেননি। রবীন্দ্র জাদেজার বলে তাঁকে মহেন্দ্র সিং ধোনি স্টাম্পড করেন। বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা ৩৯ বলে ৫৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক হার্দিক ১২ বলে ২১ রান করেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)