• শুভেন্দু'র পাশে কংগ্রেস কাউন্সিলর, জল্পনা প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন তরুণ তুর্কি
    এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২২
  • তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দল নেতার সঙ্গে পুজো উদ্বোধন করতে। এরপরেই তাঁর BJP যোগের জল্পনা উঠে আসে রাজনৈতিক মহলে। জল্পনা উড়িয়ে মেদিনীপুরের যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও কাউন্সিলর মহম্মদ সইফুল এই সময় ডিজিটালের কাছে দাবি করলেন, "এই ধরনের জল্পনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যাঁরা এই ধরনের কথা রটাচ্ছে, তাঁদেরই মানসিকতার সমস্যা রয়েছে।"

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার, চতুর্থী দিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে (Medinipur) একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh)। তবে মেদিনীপুরের (Medinipur) মির্জাবাজার দক্ষিণ কুমোরপাড়া (Mirza Bazar Dakshin Kumorpara Durga Puja committee) সর্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্বোধনে একসঙ্গে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস কাউন্সিলর মহম্মদ সাইফুলকে। মির্জাবাজার দক্ষিণ কুমোরপাড়ার ৫১তম বর্ষে পুজোর উদ্বোধনে শুভেন্দুর পাশেই ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর মহম্মদ সইফুল। এরপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে।

    শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুজো উদ্বোধনে অংশ নেওয়া কি অন্য কিছুর ইঙ্গিত। মহম্মদ সইফুল বলেন, "কে, কী বলছে জানি না, তবে সেই পুজো কমিটি যেমন শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তেমন আমাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। পুজোর অনুষ্ঠানে সকলেই উপস্থিত থাকেন। সেই কারণেই আমি ওখানে উপস্থিত ছিলাম। এখানে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করে কোনও লাভ নেই।"

    পুজো উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার ঘটনাকে নেহাত 'সৌজন্য' বলেই দাবি করছে কংগ্রেস শিবির। এ প্রসঙ্গে মহম্মদ সইফুল বলেন, "বাংলার রাজনীতি থেকে আসলে সৌজন্যতার রাজনীতি হারিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে এরকম ধরনের কথা উঠে আসছে। এর আগের একটি পুজোয় TMC-এর জেলা সভাপতির সঙ্গেও আমি উপস্থিত ছিলাম। তাহলে সেটাকে কী বলবেন?" স্থানীয় সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট পুজোর এলাকাটি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সইফুল এই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর। স্থানীয় কাউন্সিলর হিসাবেই তিনি ওই পুজো উদ্বোধনে আমন্ত্রিত ছিলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতা করতে ছাড়েনি স্থানীয় TMC নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়, দিল্লিতে দুই দলের মধ্যে চূড়ান্ত বিরোধিতা রয়েছে। তবে বাংলায় ভেতরে, ভেতর দুই দল একসঙ্গে চলে। ভেতরে ভেতরে দুই দলের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তবে ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।
  • Link to this news (এই সময়)