• কর্মরত ৩ শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, বাঁকুড়ার স্কুলে পুলিশের দাদাগিরি!
    এই সময় | ০১ জুলাই ২০২৩
  • West Bengal Police : এবার শিক্ষাঙ্গনেও পুলিশের দাদাগিরির সাক্ষী থাকলো শহর বাঁকুড়া। শনিবার শহরের মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের গেট তৈরির সময় তিন শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। ছাত্র ছাত্রীদের সম্মিলিত প্রতিবাদে পুলিশ এই কাজে সফল হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার কথা ভেবে অতি সম্প্রতি স্কুলে একটি গেট তৈরির কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে দু'বার নির্মীয়মাণ ওই গেট দুষ্কৃতীরা ভেঙে ফেলে। ফের ওই কাজ শুরু হলে পুলিশ তিন নির্মাণ শ্রমিককে গাড়িতে করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

    এমনকি প্রধান শিক্ষককেও 'অপমান' করা হয়েছে বলে স্কুলের পড়ুয়ারা দাবি করে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘স্কুলের গেট না থাকায় ওই এলাকায় অনেক অসামাজিক কাজকর্ম হচ্ছিল। সেই কারণেই গেট তৈরি জরুরি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল’। নির্মাণ শ্রমিক সঞ্জয় বাউরি বলেন, ‘আমাদের কি দোষ সেটাই আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।

    আমরা কাজ করছিলাম, পুলিশ হঠাৎ এসেই আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে ছাত্র ছাত্রীদের বাধায় তা হয়নি। আমরা গরিব মানুষ, পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে কেস দিয়ে দিলে কি করতাম বুঝতে পারছি না’। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় স্কুলের গেট তৈরির কাজ চলছিল।

    এদিন ক্লাস শুরুর আগে পুলিশ নির্মাণ শ্রমিকদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ছাত্র ছাত্রীরা বাধা দেয়। যে পুলিশ আধিকারিক স্কুলে এসেছিলেন তিনি আমার সঙ্গে 'দূর্ব্যবহার' করেন। তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে জানাবো’। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও তিনি জানান।

    এদিকে, স্কুলে নির্মাণ শ্রমিকদের 'আটক' করতে যাওয়া পুলিশ আধিকারিক এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘IC-র নির্দেশেই এসেছি’। যা বলার উনিই বলবেন বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে, পুলিশের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন বাঁকুড়া পুরসভার উপ পুর প্রধান হীরালাল চট্টরাজ।

    তিনি বলেন, ‘জনৈকা পামেলা সরকার অভিযোগ করেছিলেন তাঁর রাস্তার জায়গা দখল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ গেট তৈরি করছেন। আর সেই কারণেই পুলিশের মাধ্যমে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। আর তারপরেও সেই কাজ হচ্ছিল’। এই বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও আলোচনা করেননি বলে তিনি দাবি করেন।
  • Link to this news (এই সময়)