অত্যধিক মানসিক চাপের শিকার রাজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ ডাক্তার
বর্তমান | ০৩ জুলাই ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলার কমপক্ষে ৪০ শতাংশ চিকিৎসক বার্ন আউট বা অত্যধিক মানসিক চাপের শিকার। এমন পর্যায়ে যাচ্ছে সেই মানসিক চাপ, যা তাঁদের শরীর ও মনের অভ্যন্তরীণ গঠনগত পরিবর্তন করে দিচ্ছে। তাঁদের কিছুই ভালো লাগছে না। শুরু হচ্ছে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। ডিপ্রেশনেও ভুগছেন অনেকে। এমনকী আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করে বসছেন কেউ কেউ। চিকিৎসক দিবসে শহরে আয়োজিত সর্বভারতীয় চিকিৎসক সম্মেলন ‘হোপকন’-এ ‘মেডিক্যাল বার্ন আউট সিনড্রম’ শীর্ষক আলোচনায় এই কথা বলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ও উপাধ্যক্ষ ডাঃ অঞ্জন অধিকারী। আলোচনায় বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণাংশ তালুকদার বলেন, শুধু কাজের চাপই নয়, সমাজ, সংসার, রোজগারের চিন্তা, ভবিষ্যৎ, সবমিলিয়ে এই চাপ কাজ করছে। এখনই এ নিয়ে সমাধানসূত্র না বের করতে পারলে বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে পরে। অঞ্জনবাবু বলেন, আমার কলেজেই দেখছি, বহু ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা তুমুল মানসিক চাপের জন্য কাজ করায় আগ্রহ হারাচ্ছেন। ডাক্তারি করতে ভালো লাগছে না তাঁদের।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স, ডিজিটাল হেলথ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, মেডিক্যাল আইন, দ্রুত পাল্টাতে থাকা চিকিৎসা পরিষেবা, সনাতন পদ্ধতির চিকিৎসা বনাম প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা সহ অসংখ্য বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে তিনদিনব্যাপী এই চিকিৎসক সম্মেলনে। আয়োজকদের অন্যতম ডাঃ পয়োধি ধর বলেন, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের বহু বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষক-চিকিৎসক তো বটেই, এইমস, জিপমার, পিজিআই চণ্ডীগড় সহ দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট চিকিৎসকরাও ছিলেন এবং আসছেন এখানে। অংশ নিয়েছেন সারা দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রায় এক হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিও।
এদিন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালন করে। রুবি পার্ক পাবলিক স্কুল তারাতলায় অভিনব উপায়ে খুদে ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীর সাজে সজ্জিত করে এই দিবস পালন করা হয়। বিভিন্ন প্রচলিত চিকিৎসা যন্ত্র এবং ফার্স্ট এইড-এর সঙ্গে পরিচিত করানো হয় তাদের।