• Kolkata News : ৪ বছর আগে বাবাকে খুনে অভিযুক্ত, এবার সেই ব্যক্তিরই পচাগলা দেহ উদ্ধার বাগুইআটিতে
    এই সময় | ০৩ জুলাই ২০২৩
  • বাবার খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য কলকাতার বাগুইআটিতে। মৃত ব্যক্তির নাম চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। মাটিতে বসা এবং সোফায় হেলান দেওয়া অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    জানা গিয়েছে, বাগুইআটি অশ্বিণীনগরের ওই বাড়ির নিচের তলায় একাই থাকতেন চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বাড়ির ওপরের তলায় থাকেন তাঁর আত্মীয়রা। গত কয়েকদিন চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে পাননি এলাকাবাসী ও বাড়ির ওপরের তলার বাসিন্দারা। এরপর ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে বাড়িতে ঢুকে চন্দ্রনাথকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।

    পুলিশ জানাচ্ছে, চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত মদ্যপান করতেন। একইসঙ্গে তাঁর মানসিক কিছু সমস্যার চিকিৎসাও চলছিল। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্যই তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে শুরু হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নিজের বাবাকে খুনের অভিযোগ ওঠে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে। ওই বছর ২৮ অক্টোবার তাঁকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। বেশকয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন তিনি। চন্দ্রনাথের স্ত্রী ও সন্তানও বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। এছাড়া চন্দ্রনাথের এক দাদা আমেরিকায় থাকেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।

    কয়েকদিন আগে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে এই বাগুইআটি থেকেই উদ্ধার হয় মা ও মেয়ের জোড়া মৃতদেহ। মৃতাদের নাম গোপা রায়, ও সুদেষ্ণা রায়। জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই আদালতে গোপা রায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের ফ্ল্যাটে থাকতেন গোপা। সেই ফ্ল্যাট থেকেই গোপা ও তাঁর মেয়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। সেই সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম, জহিরুল গোলদার, আব্দুল্লাহ আল জামান, সুব্রত ধর,তপন বোধক, রূপা বোধক। এর মধ্যে জহিরুল গোলদার বিধাননগর পুরনিগমের কর্মী এবং তপন বোধক পেশায় অটোচালক বলে জানা যায়।

    তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত মহিলা গোপা দে-র ভাই গৌতম দে বিধাননগর পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী। তিনি বাড়ির মিউটেশন ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার জন্য একাধিক ব্যক্তির থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু সেই কাজ বহুদিন ধরে করিয়ে দিতে না পারার জন্য, তাঁর ফ্ল্যাটে গত চড়াও হন কয়েকজন। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিরা একটি কাগজে সই করিয়ে নেন গৌতম ও গোপাকে দিয়ে। তাতে লেখা ছিল, এক মাসের মধ্যে ৩৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁদের। সেই ঘটনার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন গোপা। ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন না গৌতম। তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, ভাগ্নি ও বোনের দেহ পড়ে রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)