• পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের পোলিং অফিসার নয়, কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জুলাই ২০২৩
  • বিশেষভাবে সক্ষমদের পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার থেকে বিরত থাকুক কমিশন। সোমবার এক মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন শিক্ষকদের ভোটগ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের একাংশ। জনস্বার্থ মামলা করে শিক্ষানুরাগী যৌথ মঞ্চ। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ভোটের কাজে প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা উচিত কমিশনের।

    (পড়তে পারেন। ভোটের বাকি পাঁচ দিন! দফা বৃদ্ধির দাবি করে হাইকোর্টে অধীর)

    শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ ছিল, পোলিং অফিসার হিসাবে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিক্ষকদেরও ডাকা হয়েছিল। শুধু পঞ্চায়েত নয় এর আগে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটেও চিঠি পাঠিয়ে ডাকা হয়েছিল সরকারি স্কুলের বিশেষ ভাবে সক্ষম শিক্ষকদের। ৬০, ৭০ এমনকি ৮০ শতাংশ শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের পঞ্চায়েত ভোটে পোলিং অফিসার হিসাবে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণের চিঠি পাঠানো হয়। 

    স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কাছে এর বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে আবেদন হয়, তাঁদের যেন ভোটের পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়। কিন্তু ভোটের সময় এগিয়ে এলেও এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় শিক্ষক সংগঠনটি। সোমবার আদালত এ নিয়ে কমিশনকে নির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছে।

    তবে আদালতের এই রায়ের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শেষবেলায় যদি বিশেষ ভাবে সক্ষম পোলিং সরিয়ে নেওয়া হয় তবে নতুন করে সমস্যা মুখে পড়বে না তো নির্বাচন কমিশন? ভোট পরিচালনার কাজে যে ঘাটতি তৈরি হবে তা মিটবে কিসে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দোলাচলের মধ্যেই নতুন আবারও হাইকোর্টের নির্দেশ কপালে ভাঁজ ফেলল কমিশনের। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচদিন বাকি এরই মধ্যে আবার দফা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট দরবার করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। অপর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ একাধিক কারণ দেখিয়ে দফা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন অধীরের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনতে রাজি হয়েছেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)