• পুর নিয়োগে CBI তদন্ত, হাইকোর্টের নির্দেশ সুপ্রিমে চ্যালেঞ্জ করে ফের তুলল রাজ্য
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জুলাই ২০২৩
  • পুরসভায় নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বিতীয়বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই মামলাও শীর্ষ আদালত থেকে সোমবার তুলে নিল রাজ্য সরকার।

    এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুর নিয়োগ মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। অন্য একটি মামলায় শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মামলাটি বেঞ্চ বদলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে যায়। তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখেন। রাজ্য একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেই সময় মামলা চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসপিএল) দায়ের করে।

    (পড়তে পারেন। Adhir Chowdhury in High Court: ভোটের বাকি পাঁচ দিন! দফা বৃদ্ধির দাবি করে হাইকোর্টে অধীর) 

    মামলা চলাকালীন রাজ্য শীর্ষ আদালতে যাওয়া অসন্তুষ্ট হয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সময় তড়িঘড়ি মামলা তুলে নেয় রাজ্য। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। তা শুনে ফের শীর্ষ আদালতে এসপিএল দায়ের করে তারা। সোমবার তা প্রত্যাহার করা হল।

    এর আগে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে এসপিএল করে রাজ্য। আদালতের ধমক থেকে তার প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানায় রাজ্য। সেই সময় ক্ষুব্ধ ডিভিশন বেঞ্চ বলে,'হাইকোর্টের একক বেঞ্চ থেকে শীর্ষ আদালতে গিয়ে এসপিএল করলেন। তা আবার তুলেও নিলেন। এটা কী অবস্থান? মামলা কী বিনা পয়সায় হচ্ছে? কাদের টাকায় মামলা হচ্ছে?'

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করে উঠে আসে পুর নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির খোঁজ। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট উদ্ধার হয়।

    সূত্রের খবর ইডি-র তদন্তকারী অফিসারদের কাছে তিনি জানান, একাধিক পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২০০ কোটি টাকা তোলেন। এর পর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে সিবিআই চেয়ে মামলা হয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)