হাতে সময় নেই একেবারে। এদিকে আষাঢ় মাসে ভ্যাপসা গরম। কিন্তু গরমের দোহাই দিয়ে তো আর নির্বাচনী প্রচারে ফাঁক রাখা যাচ্ছে না। নির্বাচন বলতে সভায়-মঞ্চে, পাড়ার মোড়ে নেতা-নেত্রীদের বক্তব্য। সেক্ষেত্রে দশকের পর দশক দেশ এবং রাজ্যের রাজনীতিতে বহু নেতা-নেত্রীর 'ফ্যাশন' বরাবর নজর কেড়েছে আমজনতার। তা সে নেহেরু কোট হয়ে মোদি কোট হোক, কিম্বা ইন্দিরা গান্ধীর শাড়ি থেকে মমতা ব্যানার্জির সরু পাড়ের সাদা শাড়ি হোক। তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে ফ্যাশন এবং ব্যাক্তিত্বকে মানুষ মনে রাখেন আলাদা ভাবে। এদিকে প্রার্থী, নেতা-নেত্রীরা প্রচার করছেন এখন, ওদিকে আবার ভোটের দিন তাঁরা ছাড়াও লাইনে দাঁড়াবেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ভোটের ফ্যাশন কেমন হবে? সেদিকেই এবার নজর দিল খাস কলকাতার ১০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পরিধেয় প্রতিষ্ঠান কে সি দাস ফ্যাশন। তাঁদের ভাবনা 'পোশাকের নির্বাচন, নির্বাচনের ভাবনা।'
কেন এই ভাবনা? প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার সৌভিক দাস জানালেন, 'এই গরম, মানুষ ভোট দিতে যাবেন, লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে। এই দীর্ঘ সময়ে আনকমফোর্টেবল পোশাক পরলে অসুবিধে হবে। সেখানে লিনেন সহ আমাদের কাছে বেশ কিছু পোশাক আছে, সেগুলি অনেক বেশি আরামদায়ক।।' সঙ্গেই সৌভিক জানিয়েছেন, 'পোশাক বলতে শুধুই ফ্যাশন নয়, পোশাক হল, যা আরামদায়ক।' এই ভোট তো নয় কলকাতায়। তবে কে সি দাস বলছে, তাদের ক্রেতা শহরে নয় শুধু, ১০০ বছরের পথ চলায় ক্রেতা রয়েছেন শহরতলির এমনকি গ্রামেও। এক জনের মধ্যে দিয়েই ছড়িয়ে যাবে ভাবনা অন্য জনের মধ্যে।
ভোটের ফ্যাশন-এ বিশেষ নেতা-নেত্রীদের 'ফ্যাশন'-এ নজর রেখে সেজে উঠেছিলেন মডেলরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশীপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক, ডেপুটি মেয়র শ্রী অতীন ঘোষ। ভোটের ফ্যাশনে বেশ গুরুত্ব দিলেন বিধায়ক। তাঁর মতে, 'এই আবহাওয়া, নির্বাচন হলে পোশাকের প্রয়োজন বেশি হয়। একটা বক্তৃতা পরেই পোশাক বদলাতে হয়। প্রতি পোশাকের মধ্যে দিয়েই পরিচয় তৈরি হয়। কেউ সুতির পোশাক পরেন, কেউ সিন্থেটিক, কেউ গরমেও জহর কোট পরেন। পোশাকে মানুষের নিজের পছন্দ ফুটে উঠে। আজকাল সামাজিক মাধ্যমে যুগে নেতা-নেত্রীরা পোশাক সম্পর্কে সচেতন থাকেন।' তাঁর মতে পোশাক এবং নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক। পোশাকের নির্বাচন, নির্বাচনের পোশাক এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।