• ‘এক তরফা ছবি’, বিবাহিত পুরুষদের ঘরোয়া কলহে আত্মহত্যা নিয়ে মামলায় বলল SC
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ জুলাই ২০২৩
  •  ঘরোয়া কলহ বিবাদের জেরে বিবাহিত পুরুষদের আত্মহত্যার নিরিখে গাইডলাইন তৈরির আবেদন নিয়ে এক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এছাড়াও ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর মেন’ গড়ার দাবিও করা হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

     সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। এই বিষয়টিতে ধার্য করতেই রাজি ছিলেন না বিচারপতিরা। তাঁরা পাল্টা প্রশ্ন করেন,' আপনি শুধু একটি একতরফা ছবি তুলে ধরতে চান। বিয়ের পরে অল্পবয়সী মেয়েদের মৃত্যুর তথ্য দিতে পারেন আপনি?... কেউ আত্মহত্যা করতে চান না, এটি একটি পৃথক মামলার তথ্যের উপর নির্ভর করে।' এমনই বার্তা উঠে আসে ওই বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে। শীর্ষ আদালত ভারতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর বিষয়ে ২০২১ সালে প্রকাশিত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) তথ্য উদ্ধৃত করে আইনজীবী মহেশ কুমার তিওয়ারির দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানি চলছিল। সেই মামলায় একাধিক পরিসংখ্যান পেশ করা হয়। সে বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে সারা দেশে ১,৬৪,০৩৩ জন আত্মহত্যা করে মারা যানয। তাঁদের মধ্যে ৮১,০৬৩ জন বিবাহিত পুরুষ এবং২৮,৬৮০ জন বিবাহিত মহিলা। এমনই তথ্য পিটিশনে তুলে ধরা হয়েছে। 

    আবেদনে বলা হচ্ছে, ‘ ২০২১ সালে প্রায় ৩৩.২ শতাংশ পুরুষ পারিবারিক সমস্যার কারণে এবং ৪.৮ শতাংশ বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে জীবন শেষ করেছেন। এই বছরে মোট ১,১৮,৯৭৯ জন পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন, যার প্রায় ৭২ শতাংশ এবং মোট ৪৫,০২৬ জন মহিলা। আত্মহত্যা করেছে, যা প্রায় ২৭ শতাংশ।’ আবেদনটি বিবাহিত পুরুষদের ঘরোয়া কলহের দ্বারা আত্মহত্যার বিষয়টি রোখার জন্য আবেদন করেছিল।এই ধরনের ক্ষেত্রে তাঁদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) এর দ্বারস্থ হওয়ার আর্জি জানায়। তারা চেয়েছিল যাতে কোনও পুরুষের ওপর বিবাহের পর ঘরোয়া বিবাদের জেরে অভিযোগ জানানোর থাকলে তিনি ওই কমিশনের কাছে যেতে পারেন। এছাড়াও তাঁর অভিযোগ যেন গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, এই ধরনের বিভিন্ন আবেদন সম্বলিত মামলা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও তা তুলে নেওয়া হয়।

     

     

     

     

     

     

     

     

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)