• দুবরাজপুরে তৃণমূলের ভার্চুয়াল সভা কেষ্ট ঘরের ছেলে, ওকে ফাঁসানো হচ্ছে: মুখ্যমন্ত্রী
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • ফের অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুবরাজপুরের সভায় ফোনের মাধ্যমে কর্মী-সমর্থকদের সামনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘কেষ্ট ঘরের ছেলে। ওকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হচ্ছে’। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলনেত্রীর এই বার্তায় উজ্জীবিত দুবরাজপুর বিধানসভা তথা জেলার তৃণমূল কর্মীরা। 

    এদিন দুবরাজপুরের সারদা ময়দানে দুপুর ২ টো থেকে তৃণমূলের কর্মিসভা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী তারাপীঠ সহ জেলার সমস্ত সতীপীঠের নাম করে প্রণাম জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। প্রথমেই উঠে আসে অনুব্রতর নাম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেষ্ট আজকে নেই। কেষ্ট ঘরের ছেলে। ওদের ইচ্ছে করে ফাঁসানো হচ্ছে। অথচ মহারাষ্ট্রে দুর্নীতির পাহাড়ে বসে থাকা লোকেরা বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে সাদা হয়ে যাচ্ছে। কেষ্টর নামে তার মেয়েকে পর্যন্ত আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। যদি সে কিছু অন্যায় করে থাকে কোর্টে প্রমাণ করুক। তা পারছে না। তৃণমূল দলটা করতে না পারে তারজন্য আটকে রেখে দিয়েছে। আর তোমাদের গদ্দারগুলো যে সব টাকা নয়ছয় করেছে, তার বিচার কে করবে? পিএম কেয়ার্স ফান্ডের হিসেব দেবে কে?

    রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ফের কেষ্টর নাম রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অনুব্রত জেলে থাকলেও দল যে তাঁর উপর এখনও আস্থা রেখেছে, তা এদিন আবারও স্পষ্ট হল। এতে দলের কর্মীরাও অনেকটাই মনোবল ফিরে পেয়েছেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভার্চুয়াল ভাষণে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথাও বলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বোর্ড গঠনের সময় তিনি আসবেন বলেও কর্মীদের ইঙ্গিত দেন। তিনি বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা থাকা শুরু করে আবাস যোজনার টাকা বিজেপি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে তিনি কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, রাজ্যের পাওনা ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এতে সবথেকে বেশি বিপদে পড়েছেন জবকার্ড হোল্ডাররা। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে জবকার্ড হোল্ডারদের কাজের সুযোগ দিচ্ছে।

    এদিকে দিল্লি ও এরাজ্য কংগ্রেসের দু’রকম নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দিল্লিতে বলছে, এসো বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করি। আমিও আছি। কিন্তু এখানে বলছে, চলো মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি। দিল্লিতে এক লাড্ডু, আর বাংলাতে আরএক! এটা তো হয় না। তিনি বলেন, বীরভূমে কোলব্লক হচ্ছে। বাজার হবে। দোকানঘর হবে। হাসপাতাল হবে। কোলব্লক হয়ে গেলে ১০০ বছর বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না। আর কাউকে বাইরে কাজে যেতে হবে না। এখানেই সবাই কাজ করবে। কুর্মি ও আদিবাসীদের সতর্ক করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি মণিপুরের মতো এখানেও দাঙ্গা বাঁধানোর ছক কষছে।
  • Link to this news (বর্তমান)