• জেলাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা নিয়ে আপত্তি অধীর চৌধুরীর
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সাধারণ মানুষ যাতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারেন সেজন্য গোটা মুর্শিদাবাদকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হচ্ছে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীরবাবু বলেন, মুর্শিদাবাদকে কেন সন্ত্রস্ত মনে হচ্ছে? এখানে ওদের সন্ত্রাসে মানুষ ভয় পাচ্ছে না। তাই তৃণমূলের মনে হচ্ছে, এটা স্পর্শকাতর। তাই এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে। আর তৃণমূল ও পুলিস বুথে বুথে লুট করবে। সাধারণ মানুষ যাতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারে সেজন্যই মুর্শিদাবাদকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূল সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন এটা করছে। 

    অধীরবাবু বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের যে সঙ্ঘবদ্ধ প্রচেষ্টা তাতে জল ঢালার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুঝবে না, কোনটা মানুষের প্রতিবাদ। তাদের দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করানোর চেষ্টা হবে। আমরা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছি। আর তৃণমূল চাইছে পথে। এটা তৃণমূলের আর একটা চালাকি। সব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মুর্শিদাবাদে নিয়ে আসতে চাইছে ওরা। কারণ তৃণমূল বলছে, ওরা পারছে না। পুলিস বলছে, তাদের দিয়েও হচ্ছে না। মানুষের প্রতিবাদ বাড়ছে। মানুষ ভোট দিতে চাইছে। সারা পশ্চিমবঙ্গ এখন স্পর্শকাতর। ভোটের দফা বৃদ্ধি নিয়ে আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে অধীরবাবু বলেন, আমরা কয়েক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। সেইসঙ্গে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছি।  

    তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা অশোক দাস বলেন, অধীর চৌধুরী খেই হারিয়ে ফেলেছেন। এলোমেলো বক্তব্য রাখছেন। কয়েকদিন আগেই তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছিলেন। আর এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আপত্তি জানাচ্ছেন। উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। আসলে উনি তলে তলে লেঠেল বাহিনী তৈরি করেছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ওঁর লেঠেলবাহিনী কাজ করতে পারবে না বুঝতে পেরেই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। উনি বরাবরই দুষ্কৃতীদের কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করেন। এবার ভোটে সেটা করতে পারবেন না বলেই এখন আপত্তি করছেন। আগামী লোকসভা ভোটে মানুষ অধীর চৌধুরীকে রাজনৈতিকভাবে বিসর্জন দেবে। 

    এদিন বহমরপুর জেলা কার্যালয়ে হরিহরপাড়ার কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে কংগ্রেসে যোগদান করান অধীরবাবু। রেজিনগর, বেলডাঙা ও বহরমপুরে চারটি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন তিনি। সেখানেও বেশকিছু তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করেন। প্রতিটি সভা থেকে তিনি তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বিজেপির হয়ে কে দালালি করছে, কে বিরোধী জোট ভাঙার চেষ্টা করেছে, সেটা দেশের লোক দেখেছে। গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা সহ সারা দেশজুড়ে তৃণমূলই বিজেপির কাছ থেকে সুপারি খেয়ে কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী জোটের বার্তা কংগ্রেস অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছে। সেই বার্তা অনুযায়ী একের পর এক রাজ্যের মানুষ বিজেপির বিরোধিতা করে কংগ্রেসকে জয়ী করছে। এর ধারা আগামী দিনেও বজায় থাকবে।
  • Link to this news (বর্তমান)