সংবাদদাতা, সিউড়ি: ভোটপ্রচারে বেরিয়ে মহম্মদবাজারে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সোমবার সকাল থেকেই এই ব্লকের দীঘলগ্রাম, সেকেড্ডা সহ বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী প্রচার করেন সাংসদ। বিভিন্ন গ্রামে পথসভায় বক্তব্যও রাখেন তিনি। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সাংসদকে দেখতে ভিড় জমান এলাকার মানুষ। কিন্তু সেকেড্ডায় প্রচারের শেষে বালুটিতে গাড়িতে ওঠার সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোটের সময় সাংসদ এলাকায় আসেন। কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলে কোনওদিন এলাকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানার জন্য আসেন না তিনি।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকার নতুনগ্রামের কাছে দ্বারকা নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু তৈরির জন্য দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে বাসিন্দাদের। সেতুটি তৈরি হলে এলাকার প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা এবং পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে সরব হন বাসিন্দারা। সেকেড্ডার বাসিন্দা আব্দুল রউফ বলেন, ভোটের সময় সাংসদ আসেন ভোট চাইতে। আমরা ভোট দিয়ে ওঁকে দিল্লি পাঠিয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের জন্য কী কাজ করেছেন এবং সংসদে আমাদের কোন অসুবিধার কথা তুলে ধরেছেন সেটা ওঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। দ্বারকা নদীর উপর ব্রিজ ভাঙা। নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য আমাদের অনেক দিনের দাবি রয়েছে। রাস্তাঘাট ও পানীয় জলের ব্যাপক সমস্যা রয়েছে এলাকায়। ভোটের পর কেউ খোঁজ রাখে না। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সাংসদকে সামনে পেয়ে পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলের লোকজন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ওই এলাকায় প্রচুর রাস্তাঘাট তৈরি করা হয়েছে। শতাব্দী বলেন, সাধারণ মানুষ তাঁদের দাবিদাওয়া জানাতেই পারেন। কিন্তু সেই দাবি আমার পক্ষে কতটা পূরণ করা সম্ভব বা সাংসদ তহবিলের টাকায় সেই কাজ সম্ভব কিনা সেটাও ভাবতে হবে। সাংসদ তহবিলের টাকায় ব্রিজ করা সম্ভব নয়। তাই আরআইডিএফ ফান্ডে ওই ব্রিজ নির্মাণের জন্য ১২কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিন রাজনগরেও পথসভা করেন শতাব্দী।