• মশা নিয়ে সব হাসপাতালকে হোয়াটসঅ্যাপ স্বাস্থ্যদপ্তরের
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলি যেন ডেঙ্গু মশার আঁতুড়ঘর না হয়ে ওঠে। অবিলম্বে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে জোর দিন। ভাঙা কাপ, প্লাস্টিকের জলের বোতল, মাটির ভাঁড়, আবর্জনা পরিষ্কার করান। মশানিধনে জোর দিন। এই মর্মে রাজ্যজুড়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতালকে সতর্ক করল স্বাস্থ্যভবন। সব মেডিক্যাল কলেজ, জেলা-মহকুমা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র—স্বাস্থ্যভবনের তরফে সোমবার এক জরুরি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে সবাইকে। দপ্তরের জনস্বাস্থ্য শাখার তরফে সোমবার এই বার্তা জারি করা হয়েছে। 

    এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমাদের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ এখন দুটি জায়গা। এক, নদীয়ার রানাঘাট। দুই, বারাসত মেডিক্যাল কলেজ। বারাসত মেডিক্যাল কলেজের মেয়েদের হস্টেলের একাধিক আবাসিক ছাত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত। আমাদের আশঙ্কা, কলেজের ভিতরই ডেঙ্গু মশার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। এদিকে রানাঘাটের পুর ও কিছু পঞ্চায়েত এলাকায় গত দু’সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হুড়মুড়িয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রমাদ গুনছে দপ্তর। তদন্তে দেখা গিয়েছে, রানাঘাট স্টেশন লাগোয়া বহু এলাকায় ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। এরপর স্বাস্থ্যদপ্তর বিষয়টি পুর ও নগরোন্নন দপ্তরকে জানায়। পাশাপাশি তারা বিষয়টি জানায় পূর্ব রেল এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। কারণ, সেখানকার একাধিক নির্মীয়মান জায়গায় ডেঙ্গু মশার লার্ভা মিলেছে। সে সম্পর্কে তাদের এনটেমোলজিক্যাল অ্যালার্টও (মশার ঘনত্ব ও অন্যান্য সূচক সম্পর্কে) দিয়েছেন দপ্তরের পতঙ্গবিদরা। 

    শুধু এখানেই নয়, টালিগঞ্জ রেল ওভারব্রিজের দু’ধারে এস পি মুখার্জি রোডের উপর কার্যত তৈরি হয়েছে অস্থায়ী ভ্যাট। সেখানে রোজকার গৃহস্থালির আবর্জনা জমে ঢিপি তৈরি হয়ে গিয়েছে। পড়ে থাকছে মাটির ভাঙা পাত্র। তাতে জল জমেছে। মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে রেলের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি লিখেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ওই এলাকা কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল সাফাইকর্মীরা পরিষ্কার করবেন। তাঁদের যেন রেলের তরফে সহযোগিতা করা হয়। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। রেলের হাসপাতালগুলিতে যাতে কোনওভাবেই ডেঙ্গু মশার বাড়বৃদ্ধি না হয়, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে, সেজন্য‌ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন ইনসপেক্টররা। আমাদের আওতাধীন এলাকাতেও জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ জাতীয় সড়কের তরফে এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্তা বলেন, ‘এখনও চিঠি পাইনি। কিন্তু ডেঙ্গু দমনে আমাদের কর্তা ও কর্মীরা সচেষ্ট আছেন।’
  • Link to this news (বর্তমান)