• দেশে বেকারত্বের হার ফের ৮ শতাংশের উপরে, গ্রামে দু’বছরে সর্বাধিক: রিপোর্ট
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • নয়াদিল্লি: ক্ষমতায় আসার আগে বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি অধরাই থেকে গিয়েছে। এরপর  চলতি বছর শেষের আগেই ১০ লক্ষ চাকরির কথা বলেছেন তিনি। ঢাকঢোল পিটিয়ে হচ্ছে রোজগার মেলা। কিন্তু প্রচারের আলোর নীচে অন্ধকার। দেশে কর্মসংস্থানের বাস্তব চিত্র মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। ঊর্ধ্বমুখী বেকারত্বের হার। কাজের অভাবে ধুঁকছে গ্রাম।  চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার দেশে বেকারত্বের হার আট শতাংশের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কর্মসংস্থানের এমনই হতাশাজনক পরিসংখ্যান উঠে এসেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)-র পরিসংখ্যানে। বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ক্রমেই সঙ্কুচিত হচ্ছে দেশের শ্রম বাজার।  সিএমআইই-র রিপোর্ট বলছে, জুনে দেশের বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৮.৪৫ শতাংশ। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৭.৬৮ শতাংশ। সবচেয়ে বিবর্ণ চিত্র গ্রামীণ এলাকায়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সেখানে বেকারত্বের হার ৮.৭৩ শতাংশ। দু’বছরের মধ্যে যা সর্বাধিক। তুলনায় শহরাঞ্চলে এই পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। গত মাসে সেখানে বেকারত্বের হার ৭.৮৭ শতাংশ। 

    প্রসঙ্গত, গ্রামের মানুষের জীবিকার অন্যতম প্রধান উৎস হল কৃষি। কিন্তু মে মাসের শেষে ফসল কাটা হয়। আর বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ফসল ফলানোর তোড়জোড় শুরু হয় জুলাইয়ে। তাই ফসল কাটা ও নতুন শস্য বপনের আগে কৃষিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ কম থাকে। কিন্তু বিকল্প কাজের সুযোগও কমেছে। এরইমধ্যে এবারের বাজেটে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দও কমানো হয়েছে। সবমিলিয়ে গত জুন মাসে গ্রামীন এলাকার শ্রমিকদের হাতে কাজ কমে গিয়েছে। অথচ গ্রামাঞ্চলেই  দেশের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বসবাস। সেখানে কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হওয়া কারণেই জুনে দেশের বেকারত্বের হার আট শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছে।  আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে কর্মসংস্থানে এই বেহাল দশা মোদি সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)