• পথবাতি নেই, সূর্য ডুবলে গ্রামীণ রাজারহাটের রাস্তায় নামে আঁধার
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদদাতা, রাজারহাট: সূর্য ডুবলেই গ্রামীণ রাজারহাটে ঢোকার একাধিক রাস্তা ডুবে যায় অন্ধকারে। নিউটাউন স্মার্ট সিটি লাগোয়া রাজারহাট ব্লকের মূল রাস্তায় কবে বসবে বাতিস্তম্ভ? ব্যালট বাক্সে রায় জানানোর আগে এই প্রশ্নের উত্তর চাইছেন বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত অফিসের বক্তব্য, পুরসভার মতো উপার্জন পঞ্চায়েতের নেই। তাই মোটা টাকা খরচ করে আলো প্রকল্প বাস্তবায়িত করা পঞ্চায়েতের পক্ষে সম্ভব নয়। নিউটাউনে বিশ্ববাংলা সরণির চিনারপার্ক মোড়। ২১১ রোড ধরে রাজারহাট গ্রামীণ এলাকায় ঢোকা যায় এই পথ দিয়ে। আর একটি পথ হল কৈখালী ৯১ রোড। এই দু’টি পথই বিধাননগর পুরনিগম এলাকা হয়ে রাজারহাট চৌমাথায় যাচ্ছে। চৌমাথা থেকে রাজারহাটের শেষ সীমানা ধরা হয় চাঁদপুর পঞ্চায়েতের বাগু, কাদা ও হুদোরআইট অঞ্চলকে। যেতে পেরতে হয় মোটামুটি ১৫ কিলোমিটার পথ। সন্ধ্যা নামলেই সেই পথ অন্ধকারে ডুবে যায়। রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পথের উপর রাজারহাটের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকার মানুষ নির্ভর করেন। সেখানকার বিষ্ণুপুর, পাথরঘাটা, লাউহাটি, চাঁদপুর, শিখরপুর, ঝালগাছি, বাগু ইত্যাদি এলাকার লক্ষাধিক মানুষ হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ এবং কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। এখানে যাতায়াতের মূল পথ রাজারহাট ২১১ এবং ৯১ রোড। এখানকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, অলিগলি তো বটেই, মূল রাস্তাগুলিও অন্ধকারে ডুবে থাকে। 

    এর পাশাপাশি নিউটাউন উপনগরীর গা ঘেঁষে থাকা পাথরঘাটা ২১১ রোড, নবাবপুর-রেকজোয়ানি, মোহম্মদপুর-কালুর মোড়, বাগজোলা খালপাড়, যাত্রাগাছি-শুলংগুড়ি, ঝালগাছি-কালুর মোড় রোড-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সন্ধ্যা হলেই কার্যত অন্ধকার হয়ে যায়। চাঁদপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মোজ্জামেল হক বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভালো কাজ করছে। তবে রাজারহাট ব্লকের রাস্তা-ঘাট অন্ধকারে ডুবে থাকে। নতুন পঞ্চায়েত বোর্ড রাস্তায় আলো বসানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে বলে আশা করছি।’ রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, ‘পঞ্চায়েতে কর বাবদ সামান্য আয় হয়। তাই পুরসভা এলাকার মতো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। জনবহুল এলাকায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইট বসানো হয়েছে। কয়েকটি পঞ্চায়েত নিজেদের উদ্যোগে বৈদ্যুতিক আলো এবং সোলার লাইট বসিয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)