• ভাঙড়ে লড়তে পারবেন না নাম মুছে যাওয়া ১৯ সিপিএম প্রার্থী: হাইকোর্ট
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর প্রার্থী তালিকা থেকে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯টি আসনে বিপক্ষের প্রার্থীরা জিতে গিয়েছেন। এমন অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড়ের সিপিএম প্রার্থীরা। কিন্তু সোমবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯ জন প্রার্থীর জয়কে মান্যতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যে সিপিএম প্রার্থীদের নাম কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে মুছে গিয়েছে, তাঁরা ভোটে লড়ার সুযোগ পাবেন না। ভাঙড়ের ১৯টি আসনে ওই সিপিএম প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের মনোনয়ন গৃহীত হয়েছিল এবং স্ক্রুটিনির পরও তাঁদের নাম কমিশনের ওয়েবসাইটে ছিল। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম নেই। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীকে নতুন করে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কমিশনকে। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় কমিশন। এদিন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনের পক্ষেই রায় দিয়েছে। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার সুযোগ চেয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। সিপিএম প্রার্থীদের মতোই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর হঠাৎই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তাঁদের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। 

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁদেরও ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কমিশন তাঁদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইএসএফ প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। মঙ্গলবার বিষয়টির শুনানি রয়েছে। এদিকে, নির্বাচনে দফা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে মামলা করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এদিন সেই মামলাটিও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)