• বারুইপুরে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার নিয়েই তরজা তুঙ্গে ‘তোমরা আমাকে ভোট দাও, আমি উন্নয়ন দেব’
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে এ এক অন্য সুভাষ! নেতাজি সুভাষ বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।’ আর ভোটবাজারের সুভাষ প্রচারে বলছেন, ‘আমি সুভাষ বলছি, তোমরা আমাকে ভোট দাও, আমি উন্নয়ন দেব’! আদতে ইনি সুভাষ মণ্ডল। বারুইপুরের বেগমপুর গ্রামসভায় ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। বেগমপুরের অলিগলিতে, বড় রাস্তায় এখন এই ভাষাতেই ‘ভোট ভিক্ষা’ করছেন তৃণমূলের সুভাষ। তবে প্রচারে ব্যবহৃত ভাষা ও তার ধরন নিয়ে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী বুদ্ধিশ্বর হাজরা বলেন, ‘নেতাজিকে অপমান করা হয়েছে এর মাধ্যমে। ওই সব বক্তব্য ভোটে কাজ করবে না। এই বুথে আমিই জিতব।’ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুভাষ মণ্ডল পাল্টা বলেন, ‘নেতাজিকে অসন্মান করার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমার দলের কর্মীরা নেতাজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং তাঁর বাণীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে। আগে এই এলাকায় বিজেপির সদস্য জিতলেও তাঁর কোনও জনসংযোগ ছিল না।’      

    বেগমপুর পঞ্চায়েতের ৪৯ নম্বর বুথে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই মূল লড়াই। সিপিএম প্রার্থী দিয়েও তুলে নিয়েছে। গতবার বিজেপি সদস্যা  যোগমায়া সর্দার এখান থেকে জিতেছিলেন। তাঁর আগে জিতেছিলেন সিপিএমের রেবা হাজরা। এবারের ভোটে নির্বাচিত সদস্যা যোগমায়াদেবীকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। নতুন মুখ নিয়ে বিজেপির একাংশের ক্ষোভও রয়েছে। যোগমায়াদেবী বলেন, ‘দল যা মনে করেছে, তা করেছে। তবে আমি কাজ করেছি কি না, তা মানুষ বলবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীও নতুন মুখ এবং ছাত্রনেতা সুভাষ মণ্ডল। তাঁর দলের কর্মীদের দাবি, মানুষের আপদেবিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন সুভাষ। পদ্মফুলের জেতা জায়গায় জোড়াফুল ফোটাতে তিনি সক্ষম হবেন। আর প্রার্থী সুভাষ বলেন, ‘নেতাজিকে স্মরণ করেই আমার প্রথম ভোটযুদ্ধে নামা। এলাকার লোকজনের যে কোনও প্রয়োজনে ছুটে গিয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার ব্রত। স্ত্রী সুস্মিতা, বাবা, মা সবাই পাশে আছে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)