• জেলা পরিষদে ওজনদার প্রার্থী বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের হাওড়া জেলার ৪২টি জেলা পরিষদ আসন রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসনটি হল ১৩ নম্বর। উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভার খলিসানি ও রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে এই জেলা পরিষদ আসনটি গঠিত। এর মধ্যে খলিসানি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে বিজেপির দখলে, অন্যদিকে রঘুদেবপুর পঞ্চায়েতের শাসন তৃণমূলের হাতে। এই আসনেই তৃণমূল এবার প্রার্থী করেছে বিদায়ী সহ সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্যকে। স্বভাবতই ওজনদার প্রার্থী তিনি। তাঁর সঙ্গেই লড়াই হবে বিজেপির অশোককুমার দাস ও সিপিএমের অভিজিৎ দাসের। 

    পঞ্চায়েত ভোটে অজয়বাবুর জয়ের ধারা অব্যাহত ২০০৩ সাল থেকে। ওই বছরে সাঁকরাইল, ২০১৩ সালে বাগনান এবং ২০১৮ সালে আমতা আসন থেকে তিনি জেলা পরিষদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে শেষ দু’বার সহ সভাধিপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এটা ঠিক যে, তিনি একই আসনে পরপর দু’বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। সিপিএমের অভিজিৎ দাস উলুবেড়িয়া  ২ নম্বর ব্লকে পার্টির এরিয়া কমিটির সদস্য। একইসঙ্গে তিনি দলের যুব সংগঠনের হাওড়া জেলা কমিটির সদস্য। তবে তিনি এর আগে কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। বিজেপির প্রার্থী অশোককুমার দাস অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এই প্রথম কোনও ভোটে দাঁড়িয়েছেন। স্বভাবতই তিন প্রার্থীর মধ্যে ধারেভারে এগিয়ে অজয় ভট্টাচার্য। বিরোধীরা অবশ্য এই তথ্য মানতে রাজি নয়। সিপিএম প্রার্থী অভিজিৎ দাস বলেন, এবার লড়াই অনেক সহজ। 

    কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় মানুষকেই প্রার্থী হিসেবে চান সবাই। অজয়বাবু উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা নন। পাশাপাশি তৃণমূল দুর্নীতির পাঁকে নিমজ্জিত হওয়ায় মানুষ তাদের বিরুদ্ধেই রায় দিতে তৈরি হচ্ছে। প্রচারে ভালো সাড়া পাচ্ছি। সুতরাং এবার ফল অন্য হবে। বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য, মানুষ এখন অনেক চুপচাপ। প্রকাশ্যে কিছু বলে না। তাঁরা সবাইকেই হ্যাঁ বলছেন। লড়াই যখন করতে নেমেছি, তখন অবশ্যই জেতার আশা রাখি।

    তৃণমূল প্রার্থী অজয় ভট্টাচার্য বলেন, বিরোধীরা যতই অপপ্রচার করুক না কেন, উলুবেড়িয়ার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই রয়েছে। সুতরাং এবার জেলা পরিষদের এই আসনে ঘাসফুলের জয় অনিবার্য।
  • Link to this news (বর্তমান)