• Tallest Building In India: আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন অধরাই! কেন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারল না ভারতের উচ্চতম বিল্ডিং?
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • আকাশ ছুঁতে কে না চায়! মুম্বইয়ে তৈরি হচ্ছিল তেমনই এক আকাশচুম্বী বিল্ডিং। কিন্তু মাঝপথেই হঠাৎ থমকে যায় সেই কাজ। এক আধ বছর নয় টানা ১৫ বছর ধরে ঝুলে থাকে বিল্ডিং তৈরির কাজ। অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিল্ডিংটি। বিল্ডিং নির্মাণের কাজ এখনও বিশ-বাঁও জলে।

    কথা হচ্ছে মুম্বইয়ের প্যালাইস রয়্যালের। যার উচ্চতা ৩২০ মিটার। বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং ওয়ার্ল্ড ওয়ান (World One) টাওয়ারকে (২৮০ মিটার) টেক্কা দিয়ে দেবে। বিলাসবহুল এই বিল্ডিংয়ে তৈরি হওয়ার কথা ছিল সুইমিং পুল, থিয়েটার স্পা-এর। এক একটি ফ্ল্যাটের দাম শুনলেও মাথা ঘুরবে রীতিমতো। দাম ধার্য হয়েছিল ২৫ থেকে কোটি। মোট ১২ হাজার কোটি টাকার ফ্ল্যাট বিক্রিও হয়। কিন্তু মাঝপথেই আইনি জটে থমকে যায় বিল্ডিং নির্মাণের কাজ। সমস্যায় পড়েন ক্রেতারাও।

    ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল প্যালাইস রয়্যালের নির্মাণকাজ। যা এখনও পর্যন্ত অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে একাধিক আইনি জট। বিল্ডিং নির্মাণ করছিল শ্রী রাম আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (SRURL)। প্রথমেই এক এনজিও এই বিল্ডিংয়ের নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। মামলায় বলা হয় উদ্বাস্তু কলোনি হিসেবে পরিচিত জায়গাটি। হিসাব মতো ওই এলাকা সংরক্ষিত। কিন্তু বেআইনিভাবে ওই এলাকায় বিশালাকার ওই বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে। পাল্টা আদালত জানায়, জায়গায়টি উদ্বাস্তু কলোনি নয়। তবে পাশের ১৫ তলার পার্কিং স্থানটি বেআইনি হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বৃহন্ন মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে ((Brihanmumbai Municipal Corporation) দায়িত্ব দেয় আদালত। কর্পোরেশন জানায়, নির্মাণকারী সংস্থাকে ১৫ তলা থেকে ভেঙে ফেলতে হবে। পাশাপাশি ক্রেতাদের ১০ শতাংশ সুদ সমেত ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।

    আর এতেই কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে নির্মাণকারী সংস্থার মালিকের । এরই মধ্যে ওই নির্মাণকারী সংস্থার মালিকের আর একটি কোম্পানি রেইড অ্যান্ড টেলরও (Reid & Taylor) প্রায় ডুবতে বসেছিল। চরম আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েন মালিক। এদিকে বিল্ডিং নির্মাণে ইন্ডিয়াবুলস হাউডিং ফাইল্যান্স লিমিটেড (Indiabulls Home Loans)-এর থেকে নেওয়া হয়েছিল ঋণ । আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ চোকাতেও ব্যর্থ হয় নির্মাণকারী সংস্থা। এরপরেই নিলামে চড়ে এই বিল্ডিং।

    ২০১৯ সালে ৭০৫ কোটি টাকার বিনিময়ে অনেস্ট সেলার গ্রুপ (Honest Shelters Pvt Ltd) জমি ও অসম্পূর্ণ এই বিল্ডিং কেনে। কাজ আবার পুনরায় চালু হয়। তবে কাজ কবে শেষ হবে, তা এখনই বলা মুশকিল। ফের কোনও আইনি সমস্যায় পড়বে কি না সে সম্বন্ধেও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
  • Link to this news (এই সময়)