• S Jaishankar : 'ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারতের লক্ষ্মীলাভ হয়েছে', দাবি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের পর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতের। এ নিয়ে পশ্চিমী শক্তিগুলির চাপ থাকলেও, তাতে আমল দিতে নারাজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর মতে, দেশের মানুষের স্বার্থই সবার আগে। আর এ ক্ষেত্রে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ভারতের লক্ষ্মীলাভ হয়েছে বলে সাফ কথা বিদেশমন্ত্রীর।

    সোমবার দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোজিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে ইনস্টিটিউটের পড়ুয়াদের মুখোমুখি হন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসে। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার ছিল ব্রিটেন, জার্মনীর মতো পশ্চিমী দেশগুলি।

    কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর, সেই অংশীদারিত্বে ভাঁটা পড়ে। বর্তমানে রাশিয়া এশীয় দেশগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির চেষ্টা চালানোয়, ভারতের সুবিধা হয়েছে বলে জানান।

    ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতে বাণিজ্য যে তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে, তাও তথ্য দিয়ে তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী । তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আগে মস্কোর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ছিল ১২ থেকে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু যুদ্ধের পর সেই বাণিজ্য ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁচেছে বলে জানান। জয়শঙ্করের মতে, কোন দেশ কী করছে তা নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত নয়।

    দেশের জনগণের উপকার হয়, এমন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার উপর জোর দেন। এখানেই থেমে থাকেন নি জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, দেশের মানুষ কতটা ভালো থাকবে তা নির্ভর করে একটি শক্তিশালী বিদেশনীতির উপর। আর সেটা না থাকলে, রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে পেট্রোল সমস্ত কিছুরই দাম বাড়তে বাধ্য।

    যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা নিয়ে চাপ থাকলেও, ভারত তাতে মাথা নত করেনি বলে দাবি করেন। বিদেশমন্ত্রী কটাক্ষের সুরে বলেন যে ইউরোপের সমস্যা যে সারা বিশ্বের, এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে পশ্চিমী শক্তিগুলিকে । উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মস্কো থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের আপত্তি জানিয়েছিল পশ্চিমী শক্তিগুলি। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারত যাতে প্রতিবাদ করে, তার জন্য আমেরিকার তরফেও তৈরি করা হয়েছিল চাপ। যদিও দিল্লি নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিল। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে বিচ্ছেদ যে সাউথ ব্লকের কাছে কাম্য নয়, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
  • Link to this news (এই সময়)