• আর ৩০ সেকেন্ড হলেই ক্র্যাশ করে যেত: মমতা
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • এই সময়: গত মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে ভোট-প্রচারে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপার। বড়সড়় কোনও ক্ষতি না হলেও দুর্ঘটনায় পায়ে ও কোমরে চোট পেয়েছেন মমতা। সাতদিনের মাথায় সোমবার প্রথম সে বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জবাব দিলেন চপার দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষেরও। এদিন দুবরাজপুরে তৃণমূলের দলীয় সভায় তিনি ভার্চুয়ালি বলেন, 'আমি এমনি ঠিক আছি। কিন্তু আমার কোমরে আর পায়ে চোট আছে। আর ৩০ সেকেন্ড হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ করে যেত।'

    মুখ্যমন্ত্রীর চপার দুর্ঘটনার পরই নানারকম ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষের মতো গেরুয়া নেতারা তির্যক সুরে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন ভোটের মুখেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তৃণমূলনেত্রী? কেনই বা ভোটের মুখে তিনি পায়ে চোট পান? এদিন কোনও নেতার নাম না করেই বিরোধীদের কড়া জবাবও দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, 'ভোটের সময়ে অনেকেই বড় বড় কথা বলেন। আমার দুর্ঘটনা নিয়েও বলেছেন। যে মানুষটা ৩০ সেকেন্ডে মরে যেতে পারত, তাঁর সম্পর্কেও উল্টোপাল্টা বলে বেড়াচ্ছে, অপপ্রপচার করছে। আমি জনগণের কাছে এর বিচার চাইব।'

    পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মানুষের কাছে মমতার বিচার চাওয়ার আহ্বান বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর চপার দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছিল সব মহলে। রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখে তা নিয়ে কোনও তির্যক মন্তব্য এড়িয়ে চলার পক্ষেই দলের অন্দরে সওয়াল করেছিলেন বিজেপির একাংশ।

    কিন্তু তরপরেও সুকান্ত-দিলীপরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনকী, দুর্ঘটনার পর সেনাবাহিনীর অফিসারদের সঙ্গে মমতার দাঁড়িয়ে থাকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিভিন্নস্তরের বিজেপি নেতারা প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, চপার দুর্ঘটনা মোটেই গুরুতর নয়। এদিন তৃণমূলনেত্রী জনতার দরবারে বিরোধীদের আক্রমণের বিচার চেয়ে সাধারণ মানুষের সহমর্মিতা আদায় করে নিলেন বলে ধারণা বিজেপিরই একাংশের।

    এদিনের সভা শেষ হওয়ার মুখে নিজের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে দলীয় কর্মীদের বিস্তারিতভাবে জানান মমতা। তিনি বলেন, 'আপনারা একদম চিন্তা করবেন না। আমি শারীরিক এবং মানসিকভাবে একদম সুস্থ আছি। মাইনর অপারেশন করে রাস্তায় নেমে পড়ব। সাত-আটদিন লাগবে। আসলে হাঁটুতে লেগেছে। রোজ চারঘণ্টা ধরে নানারকম থেরাপি চলছে। হেলিকপ্টার থেকে লাফাতে গিয়ে কোমরেও লেগেছে।' তারপরে কোনও ব্যাখ্যা না-দিয়েই তাঁর মন্তব্য, 'জানি না, এর মধ্যে আরও কিছু আছে কি না।'
  • Link to this news (এই সময়)