• Maharashtra Politics : কে আসল এনসিপি? কাকা-ভাইপোর দ্বন্দ্ব তুঙ্গে
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • মুম্বই: পাওয়ারের লড়াইটা এবার পাওয়ার বনাম পাওয়ারের। কে আসল 'ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি' (এনসিপি)? এই প্রশ্নেই এখন কাকা-ভাইপো শিবিরের দ্বৈরথ তুঙ্গে। রবিবার সকালে আচমকাই আট জন এনসিপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অজিত পাওয়ার, প্রফুল প্যাটেলরা। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন অজিত।

    রবিবার থেকেই অজিতের দাবি, এনসিপির সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন তাঁর দিকে। ফলে, দল ছাড়ার প্রশ্নই নেই, বরং তাঁরাই আসল এনসিপি। শরদ পাওয়ার তখন বলেছিলেন, কে আসল এনসিপি- এই সত্যটা শিগ্‌গির স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু সোমবার বহিষ্কারের পর্ব শুরু হতেই লড়াইটা আরও জোরালো ও ঘোরালো হয়ে উঠল।

    গোপনে দলত্যাগের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে সোমবার সকালেই প্রফুল প্যাটেল, সুনীল তাতকারে এবং এস আর কোহলিকে দল থেকে বহিষ্কার করেন শরদ পাওয়ার। শুধু তাই নয়, অজিতের শপথগ্রহণে উপস্থিত থাকার অভিযোগে এনসিপির তিন নেতা- নরেন্দ্র রাঠৌর, বিজয় দেশমুখ এবং শিবাজিরাও গারজেকেও বরখাস্ত করেন শরদ। সেই সঙ্গে অজিতের সঙ্গে যে আট জন রবিবার মহারাষ্ট্রের সরকারপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মন্ত্রীপদে শপথ নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্যপদ খারিজের নোটিস আনে শরদ পাওয়ারের শিবির।

    এই পদক্ষেপের কিছুক্ষণ পরেই ময়দানে নামেন অজিত-প্রফুল। শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবিরের স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করেই প্রফুল জানিয়ে দেন, অজিত পাওয়ারই তাঁদের দলের নেতা। অজিতের সিদ্ধান্তে দলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে শরদ-ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত পাতিলকে সরিয়ে আনা হচ্ছে সুনীল তাতকারেকে।

    কিন্তু কীসের ভিত্তিতে এই নিয়োগ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল অজিত শিবির? প্রফুলের বক্তব্য, 'এনসিপি বিধায়কদের পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে। শরদ পাওয়ার এখনও এনসিপি-র জাতীয় সভাপতি পদে আছেন, তিনিই আমাদের গুরু। কিন্তু দলের নাম এবং প্রতীক এখন আমাদের হাতে। আমরা মহারাষ্ট্রের স্বার্থের কথা ভেবেই এই কাঠামোগত বদল ঘটিয়েছি। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় অজিত পাওয়ার এনসিপি-র নেতৃত্ব দেবেন। শরদ পাওয়ারের কাছে আমাদের অনুরোধ, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিন...আমরা তাঁর আশীর্বাদ চাই।'

    সঙ্গে অজিত পাওয়ারের সংযোজন, 'আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে দলে কোনও বিরোধ নেই। যদি থাকে তখন নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে দলের নাম এবং প্রতীক কার হাতে...' মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকেও এই সমান্তরাল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছে অজিত শিবির। প্রফুল প্যাটেলের বক্তব্য, 'অনিল ভাইদাস পাতিল, যিনি আগে চিফ হুইপ ছিলেন, তিনিই আমাদের হুইপ থাকছেন, সেটা আমরা স্পিকারকে জানিয়েছি। আমাদের যা যা নিয়োগ করার, সব বাদল অধিবেশনের আগে অফিসিয়ালি-ই করব।'

    কিন্তু যাঁরা এত কিছু করছেন, তাঁদের তো এনসিপি থেকে বহিষ্কার করেছে শরদ শিবির? অজিতের দাবি, সেই বহিষ্কারের নোটিস অর্থহীন, কারণ তাঁরা দলত্যাগ করেননি। বরং পার্টি তাঁদের সঙ্গেই আছে। প্রফুল প্যাটেলের সাফ বক্তব্য, 'যাঁরা বরখাস্ত বা সাসপেনশনের নোটিস জারি করছেন, তাঁদের সেই এক্তিয়ারই নেই। নির্বাচন কমিশনও এটা করতে পারে না। এই অধিকার শুধুমাত্র স্পিকারের। স্পিকারের অনুমোদন ছাড়া কিছুই করা যায় না। আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা আমাদের সঙ্গে, ফলে সদস্যপদ খারিজের প্রশ্নই ওঠে না।' মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারেকারের অবশ্য দাবি, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে ঠিক কত জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, জানেন না তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)