• এল না অ্যাম্বুল্যান্স, গাড়ির মধ্যেই প্রসব
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • এই সময়, জলপাইগুড়ি: বারবার ফোন করেও মিলল না সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। গাড়ি ভাড়া করে প্রসূতিকে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই জন্মালো শিশু। ধূপগুড়ির পূর্ব ডাউকিমারি এলাকার ঘটনা। সেখানকার বাসিন্দা মলিন অধিকারীর স্ত্রী জয়ন্তী রায় অধিকারীর রবিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন তিনি। মাতৃযান পরিষেবা পাওয়ার জন্য পরিবারের তরফে এলাকার আশাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স।

    তাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি গাড়ি ভাড়া করেই অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে রওনা দেয় পরিবার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। গাড়ির মধ্যেই প্রসব হয়ে যায়। জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক। এ দিন প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পর বারবার সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়ার চেষ্টা করে পরিবার। ফোন করলে কখনও বলা হয়, 'দশ মিনিটে আসছি', কখনও আবার বলা হয়, '২০ মিনিট লাগবে'। এই করে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় বাধ্য হয়ে একটি গাড়ি ভাড়া করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের দিকে রওনা দেয় পরিবার। কিন্তু পথেই জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। গাড়ির মেঝেতে পড়ে সদ্যোজাত, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন প্রসূতি। সেই অবস্থাতে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে ধূপগুড়ি হাসপাতালে পৌঁছয় গাড়ি।

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারি পরিষেবা ঠিকঠাক মিলছে না। শিশুটির বাবা মলিন অধিকারী বলেন, 'এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোন করেছি। আসছি আসছি বলেও আসেনি অ্যাম্বুল্যান্স। অপেক্ষা করে অনেক পরে নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে রওনা দিই। কিন্তু দেরি হওয়ায় গাড়িতেই প্রসব হয়ে যায়। বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত।' মা ও শিশু দু'জনেই সুস্থ রয়েছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।

    অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তপন নন্দী বলেন, 'কোন চালক এমন আচরণ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ কোনও ভাবেই কাম্য নয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামীতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে সংগঠনগত ভাবে ব্যবস্থা নেব।' এ বিষয়ে ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
  • Link to this news (এই সময়)